
মোহাম্মদ নাঈম শেখ
চমক ও উত্তেজনায় ভরপুর ছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসরের নিলাম। শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ভিত্তিমূল্যের দ্বিগুণেরও বেশি দামে বিক্রি হয়ে ‘এ’ ক্যাটাগরির এই ব্যাটার নিলামের প্রথম ডাকেই হয়ে গেলেন কোটিপতি।
নাঈমকে পেতে চার দলের তুমুল লড়াই
‘এ’ ক্যাটাগরিতে নাঈমের ভিত্তিমূল্য ছিল ৫০ লাখ টাকা। শুরু থেকেই তাকে দলে টানতে লড়াইয়ে নামে সিলেট টাইটান্স ও রংপুর রাইডার্স। কিছুক্ষণ পর প্রতিযোগিতায় যোগ দেয় নোয়াখালী এক্সপ্রেস। দর যখন ৮০ লাখে পৌঁছায়, তখন নিলামে ঝাঁপিয়ে পড়ে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি চট্টগ্রাম রয়্যালস।
চার দলের লড়াই শেষে ১ কোটি ১০ লাখ টাকায় নাঈমকে দলে টানে চট্টগ্রাম। গত আসরে ৫১১ রান আর ১৯৪ স্ট্রাইক রেটের অসাধারণ পারফরম্যান্স যেন নিলামে তার মূল্য আরও বাড়িয়ে দেয়।
অন্যদিকে একই ক্যাটাগরির লিটন দাসকে পেতে তেমন প্রতিযোগিতায় পড়তে হয়নি রংপুর রাইডার্সকে। ৭০ লাখ টাকায় উইকেটকিপার- ব্যাটারকে দলে নেয় তারা।
তাওহিদ হৃদয় নিলামের বড় চমক
‘বি’ ক্যাটাগরির তাওহিদ হৃদয়ের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩৫ লাখ টাকা। তাকে ঘিরেও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। তুমুল দর-কষাকষির পর ৯২ লাখ টাকায় এই তরুণ ব্যাটারকে দলে নেয় রংপুর রাইডার্স- যা তার ভিত্তিমূল্যের প্রায় তিনগুণ।
অবিক্রিত মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ
নিলামের প্রথম রাউন্ডে বড় চমক আসে দুজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে ঘিরে। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ- দুজনকেই প্রথম ডাকেই কেউ কিনতে আগ্রহ দেখায়নি। নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী ধাপে তাদের নাম আবার তোলা হবে।
অন্যদের কে কোথায়
মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন – ৬৮ লাখ (ঢাকা ক্যাপিটালস)
মোহাম্মদ মিঠুন – ৫২ লাখ (ঢাকা ক্যাপিটালস)
নাহিদ রানা – ৫৬ লাখ (রংপুর রাইডার্স)
হাবিবুর রহমান সোহান – ৫০ লাখ (নোয়াখালী এক্সপ্রেস), ভিত্তিমূল্য ছিল ১৮ লাখ
চমক, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও নতুন সম্ভাবনায় ভরা এ নিলাম বিপিএলের দ্বাদশ আসরকে ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনে দিয়েছে।




























