
গাজা অভিমুখে চলেছে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। এই ফ্লোটিলার উদ্দেশ্য ইসরায়েলি বাহিনীর নৌ অবরোধ ভাঙা এবং গাজায় চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে বিশ্বসাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ। ইতালি থেকে যাত্রা করা এই গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় অংশ নিয়েছেন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব ও মানবাধিকারকর্মীরা। এই দলে আছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আরোকচিত্রী ও লেখক ড. শহিদুল আলম।
সাগরে চলমান ফ্লোটিলা থেকে তিনি জানিয়েছেন সর্বশেষ আপডেট। ইংরেজিতে লেখা তার বার্তাটি নিচে বাংলায় তুলে ধরা হলো-
আমি যেহেতু ‘কনসায়েন্স’ জাহাজে ওঠা শেষ ব্যক্তি, এখানে আমার জন্য কোনো জায়গা ছিল না। গত রাতে আমি খোলা ডেকে ঘুমিয়েছিলাম, কিন্তু বাইরে ঝড় ওঠায় সেই সুযোগও আর ছিল না। তাই আমি একেবারে ছোট্ট এক কোণ খুঁজে নিলাম, বের হওয়ার গেটের পাশে। সেখানে প্রচণ্ড শব্দ আর আলো থাকলেও, আমার রিমান্ড আর কারাজীবনের অভিজ্ঞতা আমাকে এ ধরনের পরিবেশে মানিয়ে নিতে শিখিয়েছে—ফলে আমি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছি!
বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছা আর প্রার্থনার বার্তা আসছে। আমি সবার উত্তর দিতে পারছি না বলে দুঃখিত, তবে আপনাদের শুভেচ্ছা ও প্রার্থনা আমি আমার সহযোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এটি আমাদের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
আমার গণমাধ্যমের বন্ধুদের কাছেও দুঃখ প্রকাশ করছি, যারা নিয়মিত আপডেট আর কনটেন্ট চাইছেন। এত বেশি অনুরোধ আসছে যে, আমি আলাদাভাবে সবার উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। দয়া করে কনটেন্টের জন্য আমার দৃকের সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনাদের সংহতি ও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ।
অবশ্যই আমাদের আলোচনার মূল বিষয় হলো—ইসরায়েলি জলদস্যুদের দ্বারা আন্তর্জাতিক জলসীমায় ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌযানগুলো দখল। আমাদের এখনো গাজা পৌঁছানোর পথ বাকি আছে, তাই আমরা দেখছি আমাদের কী হয় আর সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের জানানো হয়েছে আজ সাগরে ঢেউ দুই মিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে ঝড় কেটে গেছে এবং আর কোনো বজ্রপাত নেই। ঝড় থেকে দূরে থাকতে ক্যাপ্টেন গতি বাড়িয়েছিলেন, এবং তা সফল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের বমি প্রতিরোধের ব্যাগ দেওয়া হয়েছিল, তবে প্রয়োজন পড়েনি!
আমরা অবরোধ ভাঙব। আপনাদের উপস্থিতি ও সংহতির মূল্য আপনি যতটা ভাবছেন, তার চেয়েও বেশি। ফিলিস্তিন মুক্ত হবে।























