
গাজায় ইসরাইলি হামলা থামছেই না। ছবি: সংগৃহীত
গাজায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলি আগ্রাসন চলমান। এই দীর্ঘ যুদ্ধের ফলে উপত্যকাটিতে মৃতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। শনিবার (২৯ নভেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তারা এ তথ্য জানায়। খবর আলজাজিরার।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০ হাজার ১০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। দীর্ঘদিনের এই আগ্রাসন গাজার বেসামরিক জনগণকে অবর্ণনীয় মানবিক বিপর্যয়ের মুখে ফেলেছে।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে। গত মাসে হামাসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও বাস্তবে পরিস্থিতির তেমন উন্নতি দেখা যায়নি।
শনিবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের পূর্বাঞ্চলে বানি সুহেলা এলাকায় ইসরাইলি ড্রোন হামলায় দুই ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে আল-ফারাবি স্কুলের কাছে বেসামরিক লোকজনের ওপর ড্রোন থেকে বিস্ফোরক নিক্ষেপ করা হয়। এতে জুমা এবং ফাদি তামের আবু আসি নামের দুই ভাই গুরুতর আহত হয়। পরে খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্র জানায়, হামলার স্থানটি ছিল তথাকথিত ইয়েলো লাইন—যেখানে হামলা না চালানোর বিষয়ে ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল ইসরাইল। তবুও ওই সীমারেখা অতিক্রম করে হামলা চালানো হচ্ছে।
শুধু ড্রোন হামলাই নয়, শনিবার দিনভর গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি বাহিনী স্থল, নৌ এবং বিমান—তিন দিক থেকেই আক্রমণ চালিয়েছে। খান ইউনিসের উত্তর-পূর্বে আল-কারারা এলাকায় কামান ও বিমান হামলায় তিন ফিলিস্তিনি আহত হন। গাজা শহরের পূর্বের তুফাহ পাড়া এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের পূর্ব অংশেও হামলা চালানো হয়।
নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, ইয়েলো লাইনের ওপারে বানি সুহেলায় ড্রোন হামলায় আরেকজন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পরের দিনই নতুন এই হামলা চালানো হয়েছে।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের পরিচালক ইসমাইল আল-থাওয়াবতা জানান, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গত শুক্রবার পর্যন্ত ইসরাইল ৫৩৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। ফলে গাজার মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।





























