বসবাসযোগ্যতার বিভিন্ন মানদণ্ড বিবেচনায় ২০২৫ সালের হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করেছে দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। এ বছর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাকে পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেন।
ইআইইউ-এর এই তালিকায় বিশ্বের ১৭৩টি শহরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তালিকায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা তিন ধাপ পিছিয়ে গেছে, অবস্থান এখন ১৭১তম। ঢাকার নিচে রয়েছে কেবল যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক (১৭৩) ও লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি (১৭২)। ঢাকার ঠিক আগে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (১৭০তম)।
প্রতিবছর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, অবকাঠামো, পরিবেশ ও সংস্কৃতি-সমৃদ্ধ জীবনযাপনের মানদণ্ডে এই তালিকা তৈরি করে ইআইইউ। ২০২৫ সালের তালিকায় উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন এসেছে।
দীর্ঘদিন শীর্ষে থাকা ভিয়েনা এবার দ্বিতীয় অবস্থানে নেমে গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নিরাপত্তাজনিত হুমকির কারণে ভিয়েনার স্কোর কমেছে। গত বছর সেখানে বোমা হামলার হুমকিতে টেইলর সুইফটের একটি কনসার্ট বাতিল করা হয়। এমনকি একটি রেলস্টেশনে সম্ভাব্য হামলাও প্রতিরোধ করা হয়েছে। এসব ঘটনার প্রভাবই শহরটির অবস্থান বদলের অন্যতম কারণ।
অন্যদিকে কোপেনহেগেনের উচ্চমানের স্থিতিশীলতা, উন্নত অবকাঠামো ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ তাকে এই বছর বসবাসযোগ্য শহরের শীর্ষে তুলে এনেছে।
বসবাসযোগ্যতার বিচারে এর পরের ৮ শীর্ষ শহর হলো, যথাক্রমে- সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, সুইজারল্যান্ডের জেনেভা, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, জাপানের ওসাকা, নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড ও কানাডার ভ্যাঙ্কুভার।
ইআইইউ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার অবস্থানগত অবনতির পেছনে রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্বল অবকাঠামো ও নাগরিক সেবার মান নিচু থাকা অন্যতম কারণ। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, “গত বছরের রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সহিংসতার প্রভাব এখনও শহরটির নাগরিক জীবনে স্পষ্ট।”




















