
দেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ও ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া … রাজিউন)। রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
তিনি ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
শিল্পী হামিদুজ্জামান খানের পারিবারিক বন্ধু বিশিষ্ট স্থপতি ও শিল্পী মোস্তফা খালিদ পলাশ বাংলা টেলিগ্রাফকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হামিদুজ্জামান খানের জন্ম ১৯৪৬ সালের ১৬ মার্চ কিশোরগঞ্জের সহশ্রাম গ্রামে। তার অধিকাংশ কাজই ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধকে উপজীব্য করে।
হামিদুজ্জামান খান ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ কলেজ অব আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটস (বর্তমান চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে চারুকলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। সেখানে ১৯৭০ সালে এই শিল্পী যোগ দেন শিক্ষক হিসেবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে সার কারখানায় ‘জাগ্রতবাংলা’, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সংশপ্তক’, ঢাকা সেনানিবাসে ‘বিজয় কেতন’, মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন প্রাঙ্গণে ‘ইউনিটি’, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে ‘ফ্রিডম’, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’, আগারগাঁওয়ে সরকারি কর্মকমিশন প্রাঙ্গণে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’, মাদারীপুরে ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ‘শান্তির পায়রা’- তার উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য।
হামিদুজ্জামান খানের ৪৭টি একক প্রদর্শনী হয়েছে। ২০০৬ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য তিনি একুশে পদক লাভ করেন। ২০২২ সালে বাংলা একাডেমি ফেলো নির্বাচিত হন।




















