
বার্ন ইউনিটে একের পর এক দগ্ধ শিক্ষার্থীকে আনা হচ্ছে
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতায় নামে।
বেলা ১টা ০৬ মিনিটের দিকে ঘটা এই দুর্ঘটনায় ১৯ দজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া বহু হতাহতের আশংকা করা হচ্ছে। যাদের অধিকাংশই ছাত্র-ছাত্রী।
এ দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধদের একে একে ভর্তি করা হচ্ছে রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেখানে অন্তত ৬০ জন ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দগ্ধদের অধিকাংশই স্কুলের শিক্ষার্থী।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন জানান, কতজন এসেছে তার কোনো হিসেব নেই। তবে আমার হাসপাতাল পুরোটাই ভর্তি। আপাতত চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে পুরো টিম।
দুর্ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক ও উদ্বেগের পরিবেশ। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ। বার্ন ইউনিটে দেখা যায়, আশপাশে ভিড় জমিয়েছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, স্বজন ও সাধারণ মানুষ। আতঙ্কে কেউ কাঁদছেন, কেউ সন্তানকে খুঁজছেন।
স্কুলের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সবুজ মিয়া জানান, বিদ্যালয়ের ছুটি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভবনের দোতলায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। ওই সময় কিছু শিক্ষার্থী বেরিয়ে গেলেও অনেকে তখনো ভবনের ভেতরে ছিল। বিমানটি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়, মুহূর্তেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
এ দিকে আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজেআই’ প্রশিক্ষণ বিমানটি রোববার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। অনেক দূর থেকেও সেখানে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। জ্বলন্ত উড়োজাহাজটির আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট।




















