সোমবার । ডিসেম্বর ৮, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক বিজনেস ১১ অগাস্ট ২০২৫, ১১:০৯ অপরাহ্ন
শেয়ার

বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানিতে নতুন বিধিনিষেধ ভারতের


BD-India
ভারত আবারও বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিতে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। সোমবার (১১ আগস্ট) ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালকের কার্যালয় (ডিজিএফটি) এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, এখন থেকে বাংলাদেশের চার ধরনের পাটপণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না। শুধু মুম্বাইয়ের নভসেবা বন্দর দিয়ে সমুদ্রপথে আমদানি সম্ভব হবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, যেসব পণ্যের ওপর এ বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো—পাট ও পাটজাত কাপড়, পাটের দড়ি বা রশি, পাটজাত দড়ি বা রশি এবং পাটের বস্তা বা ব্যাগ। সিদ্ধান্তটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়েছে।

নতুন বিধিনিষেধে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য বড় ধাক্কা এসেছে। কারণ, এসব পণ্যের মাত্র ১ শতাংশ সমুদ্রপথে রপ্তানি হয়। বাকিটা স্থলবন্দর দিয়েই যায়। ফলে রপ্তানির সবচেয়ে সহজ পথ কার্যত বন্ধ হয়ে গেল।

বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাপস প্রামাণিক এ প্রসঙ্গে বলেন, “ভারতের নেওয়া প্রতিটি পদক্ষেপই বাংলাদেশের জন্য নেতিবাচক। সরকারকে অনুরোধ করব, যেন দ্রুত দ্বিপক্ষীয় আলোচনার উদ্যোগ নেয়।”

এর আগে ২৭ জুন ভারত স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা পাট, পাটের রোল, সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড় আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তারও আগে ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা, ফল ও পানীয়সহ নানা পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করে। এছাড়া ৯ এপ্রিল কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করে নেয়।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতকে ১৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা মোট রপ্তানি আয়ের ৩.৭৫ শতাংশ। অন্যদিকে বাংলাদেশ ভারত থেকে ৯০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে, যার বড় অংশ শিল্পের কাঁচামাল ও মধ্যবর্তী পণ্য। ভারতীয় ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় বাজারও বাংলাদেশ।