
লালনসংগীতের কিংবদন্তি ফরিদা পারভীনকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষ ভিড় জমায় রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তার মরদেহ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পৌঁছালে শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী ও সাধারণ মানুষ ফুল দিয়ে বিদায় জানান এই শিল্পীকে।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে বাদ যোহর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হচ্ছে কুষ্টিয়ায়। শিল্পীর দীর্ঘদিনের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে সমাহিত করা হবে কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে মা–বাবার কবরের পাশে।
ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম নাহিল সুমন জানান, দাফন কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে মায়ের ইচ্ছা অনুসারেই সম্পন্ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “মাকে কুষ্টিয়ায় দাফন করব, তার ইচ্ছা অনুযায়ী।”
অডিও ফিচার: বিশ্বের ১০ মসজিদের দেশ
গত কয়েক বছর ধরে কিডনি জটিলতা ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। চলতি বছরে তাকে তিন দফায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। সর্বশেষ ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে রাখা হয় আইসিইউতে, পরে নেওয়া হয় লাইফ সাপোর্টে। চিকিৎসকরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর কিডনি ও মস্তিষ্ক কার্যকারিতা হারায় এবং শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ চিকিৎসার পর অবশেষে আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে লাইফ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোরের সিংড়ায় জন্ম নেওয়া ফরিদা পারভীন পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে গান দিয়ে মুগ্ধ করে গেছেন শ্রোতাদের। লালনগীতি জনপ্রিয় ও বিশ্বমঞ্চে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে তার অবদান অনন্য। জীবদ্দশায় তিনি একুশে পদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং আন্তর্জাতিক ফুকুওয়াকা পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা অর্জন করেছেন।




















