ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তিন পরিচ্ছন্নতাকর্মী—আব্দুল লতিফ, আব্দুল জলিল ও এখলাছ। নাম পরিচয়ে তারা ঝাড়ুদার, অথচ বাস্তবে কেউ বহুতল ভবনের মালিক, কেউ ব্যবসায়ী, আবার কারও সন্তান পড়ছে বিদেশে। অনুসন্ধানে তাদের অস্বাভাবিক সম্পদের চিত্র বেরিয়ে এসেছে।
জানা গেছে, এ তিনজন দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়নের নেতা হিসেবেও প্রভাব বিস্তার করে আসছেন। জমি দখল, চাঁদাবাজি ও জালিয়াতির অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
আব্দুল লতিফ—ঝাড়ুদার হিসেবে চাকরি শুরু করলেও এখন হাজারীবাগে ছয়তলা ভবনের একাধিক ফ্ল্যাটের মালিক। স্ত্রীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একটি ফ্ল্যাট তাদের নামে নিবন্ধিত। ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য লতিফ ১৬ বছরে চাঁদাবাজির মাধ্যমে প্রায় ৭০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ঢাকায় আরও দুটি ফ্ল্যাট, কুমিল্লার হোমনায় জমি, দোকান ও ফার্মেসির মালিক তিনি। তার ছেলে কানাডায় পড়াশোনা করছে।
আব্দুল জলিল—স্কেলিং ভেঞ্চারস ইউনিয়নের সহ-সভাপতি। কয়েক বছর আগে মাসিক বেতন ছিল ৭০ হাজার টাকার মতো। অথচ এখন রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগে তিনতলা ভবনের মালিক তিনি। সহকর্মীদের দাবি, কামরাঙ্গীরচরেও তার একাধিক সম্পত্তি রয়েছে।
এখলাছ—ডিএসসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মী এখলাছ কেরানীগঞ্জে পাঁচতলা ভবনের মালিক। পাশের নির্মাণাধীন ভবনেও তার শেয়ার রয়েছে। অথচ এখনো করপোরেশনের কোয়ার্টার দখল করে বসবাস করছেন তিনি।
সহকর্মীদের অভিযোগ, এই তিন ‘কোটিপতি ঝাড়ুদার’ নিজেরা কাজে যান না, অন্যকে দিয়ে দায়িত্ব পালন করান। অনেকেই প্রক্সি কর্মী নিয়োগ দিয়ে বেতনের অর্ধেক তুলে নেন।
এ তিন ঝাড়ুদার দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এখন বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিক প্রভাবকে হাতিয়ার করেই তারা গড়ে তুলেছেন অর্থ ও ক্ষমতার সাম্রাজ্য।




















