
আজ ২২ সেপ্টেম্বর, বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব গন্ডার দিবস। ২০১০ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডব্লিউ ডব্লিউ এফ) সাউথ আফ্রিকার উদ্যোগে দিবসটির সূচনা হয়। যার মূল উদ্দেশ্য—গন্ডার সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধি ও শিকার দমন।
বর্তমানে পৃথিবীতে মাত্র পাঁচ প্রজাতির গন্ডার টিকে আছে। আফ্রিকায় রয়েছে কালো গন্ডার ও সাদা গন্ডার, আর এশিয়ায় একশৃঙ্গ, জাভা ও সুমাত্রার গন্ডার। তবে এরা সবাই ভয়াবহ হুমকির মুখে।
আন্তর্জাতিক গন্ডার ফাউন্ডেশনের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, আফ্রিকায় প্রায় ৬ হাজার ৭৮৮ কালো গন্ডার এবং ১৫ হাজার ৭৫২ সাদা গন্ডার আছে। এশিয়ায় কিছুটা সাফল্যের গল্প রয়েছে—ভারত ও নেপালের উদ্যোগে একশৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৭৫-এ পৌঁছেছে। কিন্তু জাভা গন্ডার মাত্র ৫০টি এবং সুমাত্রার গন্ডার ৫০টিরও কম টিকে আছে, যা মারাত্মক বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবৈধ শিকার এখনো সবচেয়ে বড় হুমকি। গন্ডারের শিংয়ের জন্য আন্তর্জাতিক চাহিদা অপরাধ চক্রকে সক্রিয় রেখেছে। পাশাপাশি বন উজাড়, কৃষি সম্প্রসারণ ও জলবায়ু পরিবর্তন তাদের আবাসস্থল ধ্বংস করছে।
তবুও আশার আলোও আছে। দক্ষিণ এশিয়ায় কঠোর আইন প্রয়োগ, সংরক্ষিত এলাকা সম্প্রসারণ এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে একশৃঙ্গ ও কালো গন্ডারের সংখ্যা বেড়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন—এভাবে চলতে থাকলে জাভা ও সুমাত্রার মতো প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
বিশ্ব গন্ডার দিবসের মূল বার্তা—“গন্ডার বাঁচান, প্রকৃতি বাঁচান”। গন্ডার রক্ষা মানে শুধু একটি প্রাণী নয়, বরং পুরো বাস্তুসংস্থান ও জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করা।




















