মঙ্গলবার । ডিসেম্বর ৯, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ৮:০৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

আইওয়াচের সাফল্য চান অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বীরাও


এলজি ও স্যামসাংয়ের মতো অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোও আইওয়াচের সাফল্য কামনা করছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বাজারে আসতে যাচ্ছে অ্যাপলের বহুল প্রতীক্ষিত আইওয়াচ। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলো মনে করছে অ্যাপলের নতুন স্মার্টঘড়িটি পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে নতুন মাত্রা যোগ করবে। যার ফলে এ প্রতিষ্ঠানগুলোও সংশ্লিষ্ট বাজার থেকে উপকৃত হবে। খবর রয়টার্স।

পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্যের বাজার দিন দিন বড় হচ্ছে। এলজি, স্যামসাংসহ শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে এরই মধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কয়েক বছর ধরেই বাজারে রয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্য। কিন্তু ক্রমেই এসব পণ্যের চাহিদা বাড়লেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এ খাত থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মুনাফা অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে।

Apple's+first+smartwatch+draws+closer+to+mass+productionএদিকে উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো যেসব প্রতিষ্ঠান স্মার্টঘড়ির মতো পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্য তৈরি করছে, তারা স্মার্টফোনেরও নির্মাতা। ফলে ব্যবসা খাতে স্বাভাবিকভাবেই তুলনা চলে আসে। বর্তমানে বিশ্বে দ্রুত বর্ধনশীল ব্যবসাগুলোর মধ্যে মোবাইল ডিভাইস খাত অন্যতম। আর মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছে। সে তুলনায় পরিধেয় পণ্যের বাজার এখনো তলানীতেই পড়ে রয়েছে।

অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানরা মনে করছেন অ্যাপলের স্মার্টঘড়িটি পরিধেয় প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে একটি নির্দিষ্ট মানদণ্ড তৈরি করবে। আর অ্যাপলের মতো প্রতিষ্ঠানের পণ্যের চাহিদা বাজারে সবসময়ই থাকে। অ্যাপলের একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটি সবসময় গ্রাহকের প্রয়োজন বুঝে পণ্য বাজারে আনে। অ্যাপলের স্মার্টঘড়িটি সাধারণ গ্রাহকদের মাঝে পরিধেয় পণ্য ব্যবহারে আগ্রহ বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ কারণে নতুন গ্রাহকরা পরিধেয় পণ্য কিনতে আগ্রহী হবেন। এতে সংশ্লিষ্ট ডিভাইসগুলোর বাজার বাড়বে।

এ বিষয়ে এলজির পরিচালক সাং-জিন লি বলেন, অ্যাপল যদি তাদের নিজস্ব পণ্য বাজারে আনে, তাহলে বাজারটির পরিসর বাড়বে। কোরীয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আইওয়াচের বাজারে আসা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা এটাই চাচ্ছিলাম।’ তাদের এ ধরনের মন্তব্য থেকে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে তারা অ্যাপলের নতুন পণ্যটির সাফল্য কামনা করছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, পূর্বঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আজই অ্যাপল তাদের আইওয়াচের উদ্বোধন করতে পারে। ফলে এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। অ্যাপলের এ পণ্যটি নিয়ে এ পর্যন্ত বেশকিছু গুজব ছড়িয়েছে। এ গুজবের সত্যতা আজই বোঝা যাবে।

চলতি বছর বিশ্বব্যাপী ১৩০ কোটি মোবাইল ডিভাইস বিক্রি হতে পারে। কিন্তু বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) মোট স্মার্টঘড়ি সরবরাহ হয়েছে ১০ লাখ, যা মোট মোবাইল ডিভাইসের সংখ্যার তুলনায় খুবই নগণ্য। বর্তমান স্মার্টফোন বাজারে কোরীয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের দখল ৭৪ শতাংশ। চলতি বছরের সরবরাহেও প্রতিষ্ঠানটি তাদের শীর্ষস্থান ধরে রাখবে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি বেশকিছু নতুন প্রযুক্তি নিয়ে পরিধেয় ডিভাইস বাজারে ছেড়েছে। তার পরও কিন্তু বিক্রি খুব বেশি বাড়েনি। এখানে স্বয়ং অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা মনে করছে অ্যাপলের পণ্য বাজারে আসলে পরিধেয় ডিভাইসগুলোর মোট বিক্রি বাড়তে পারে। এতে সংশ্লিষ্ট বাজারের পরিসরও বাড়বে অনেকাংশে। এখানে উল্লেখ করার মতো বিষয় হলো অ্যাপল খুব কার্যকর ডিভাইস বাজারে আনলেও দামের কারণে বিক্রি তুলনামূলক কম হয়। যেখানে স্যামসাংয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো দাম কমিয়ে অধিক বিক্রি করে। এক্ষেত্রে অ্যাপলের আইওয়াচের কারণে ভবিষ্যতে স্যামসাং ও এলজির মতো প্রতিষ্ঠানের পরিধেয় ডিভাইসের বিক্রি যে বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য। সূত্রঃবণিকবার্তা

নিউজ পাওয়া যায়নি