
বার্ষিক গ্লোবাল ইনোভেশন ইনডেক্স (জিআইআই) ২০২৫ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ১৩৯টি অর্থনৈতিক গবেষণা, উদ্ভাবন, পেটেন্ট এবং ডিজিটাল অগ্রগতিসহ মোট ৭৮টি সূচকের ভিত্তিতে এই র্যাঙ্কিং করা হয়েছে। ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি জার্মানিকে পিছনে ফেলে প্রথমবারের মতো শীর্ষ ১০–এ জায়গা করে নিয়েছে চীন।
জিআইআই অনুযায়ী, প্রথম স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। দেশটি ২০১১ সাল থেকে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। দ্বিতীয় স্থানে সুইডেন এবং তৃতীয় স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়া, পঞ্চম স্থানে, সিঙ্গাপুর, ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। শীর্ষ দশের শেষ দুই দেশ যথাক্রমে ডেনমার্ক ও চীন।
চীনের এই উত্থান মূলত বিপুল গবেষণা ও উদ্ভাবনী খাতে (R&D) বিনিয়োগ এবং পেটেন্ট আবেদন সংখ্যায় শীর্ষ অবস্থান দখলের ফল। কেবল ২০২৪ সালেই বিশ্বব্যাপী মোট পেটেন্ট আবেদনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ চীন থেকে এসেছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও জার্মানির মতো শীর্ষ দেশগুলো অনেকটা পিছিয়ে আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন দ্রুত বেসরকারি খাতের অর্থায়নের ব্যবধান কমিয়ে আনছে এবং অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গবেষণা ও উদ্ভাবনী খাতের বিনিয়োগকারী হতে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, জার্মানি নেমে গেছে ১১তম স্থানে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শিল্পখাতে শক্তিশালী উদ্ভাবনের ঐতিহ্য থাকলেও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য জার্মানিকে এখন ডিজিটাল উদ্ভাবনে সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
তবে বৈশ্বিক উদ্ভাবনের ভবিষ্যৎ ছবিটি খুব আশাব্যঞ্জক নয়। চলতি বছরে গবেষণা ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি নেমে আসতে পারে মাত্র ২.৩ শতাংশে, যা গত বছরের ২.৯ শতাংশের চেয়েও কম। এটি হবে ২০১০ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের পর সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি।























