মঙ্গলবার । ডিসেম্বর ৯, ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:১৮ অপরাহ্ন
শেয়ার

সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় অন্তত ৭৫ জন নিহত


sudab-mosjidসুদানের দারফুরে এক মসজিদে ড্রোন হামলায় অন্তত ৭৫ জনের বেশি নিহত হয়েছেন বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন এক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসা কর্মকর্তা। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এল-ফাশের শহরে ফজরের নামাজ চলাকালে চালানো এ হামলার জন্য আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে (আরএসএফ) দায়ী করা হচ্ছে, যদিও তারা কোনো দায় স্বীকার করেনি।

চিকিৎসা সূত্র জানায়, এ ঘটনায় ৭৫ জন নিহত ও প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। এখনো ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহ উদ্ধার কাজ চলছে। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মসজিদের পাশে প্রায় ৩০টি লাশ কাফনের কাপড় বা কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় রাখা হয়েছে।

আরএসএফ ও সেনাবাহিনী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধে লিপ্ত। বর্তমানে আরএসএফ এল-ফাশের শহর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে, যা দারফুরে সেনাদের শেষ ঘাঁটি এবং যেখানে তিন লক্ষাধিক বেসামরিক মানুষ আটকে রয়েছে।

এই সপ্তাহে আরএসএফ আবারও এল-ফাশেরে বড় হামলা শুরু করেছে। খবর অনুযায়ী, শহরের কাছে আবু শৌক শরণার্থী শিবিরেও তীব্র হামলা হয়েছে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক গবেষণা ল্যাব জানিয়েছে, স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা গেছে শিবিরের বড় অংশ আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে।

এছাড়া ছবিতে আরএসএফকে সেনাদের যৌথ সদর দপ্তরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে, যা আগে জাতিসংঘের কমপাউন্ড ছিল। বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন, সেনাবাহিনী দ্রুত সহায়তা না পেলে এল-ফাশের সম্পূর্ণভাবে আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে, যা কার্যত দেশটিকে বিভক্ত করে দিতে পারে।

জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংঘাতটি ক্রমেই জাতিগত রূপ নিচ্ছে এবং উভয় পক্ষই সাধারণ মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করছে। তবে নথিপত্রে আরএসএফের বিরুদ্ধে অ-আরব জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত জাতিগত নির্মূলের অভিযোগ রয়েছে। ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সও জানিয়েছে, আরএসএফ সৈন্যরা অ-আরব সম্প্রদায়কে এল-ফাশের থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলেছে।

তবে আরএসএফ আগের মতো এবারও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং বলেছে তারা কোনো গোত্রীয় সংঘাতে জড়িত নয়।

নিউজ পাওয়া যায়নি