ফিলিস্তিনকে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো পর্তুগাল। স্থানীয় সময় রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রাঙ্গেল এ ঘোষণা দেন। গাজায় চলমান যুদ্ধের মধ্যে পশ্চিমা বিশ্বের সর্বশেষ প্রতীকী স্বীকৃতি এটি।
পাওলো বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া আমাদের দীর্ঘদিনের নীতি ও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। তিনি আরও যোগ করেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের নতুন অধিবেশন শুরুর আগেই এ ঘোষণা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দাবিকে আরও জোরদার করলো।
এর আগে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত বছর স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়েও একই পদক্ষেপ নেয়। বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তবে যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে ইসরায়েলি সরকার, জিম্মিদের পরিবার এবং কিছু কনজারভেটিভ নেতা। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এমন পদক্ষেপ ‘সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করার’ শামিল। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘমেয়াদি শান্তির আশা টিকিয়ে রাখার নৈতিক দায়িত্ব থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সরকারি সূত্র জানায়, গাজায় অনাহার ও সহিংসতার ভয়াবহ চিত্র সহ্য করা যাচ্ছে না। ইসরায়েলের সাম্প্রতিক স্থল অভিযানকে এক জাতিসংঘ কর্মকর্তা আখ্যা দিয়েছেন “মহাপ্রলয়সদৃশ” বলে। এতে গাজা সিটি থেকে লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।























