
রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে ভারতের লাদাখে চলমান যুব আন্দোলন অগ্নিগর্ভ রূপ নিয়েছে। সহিংসতায় কমপক্ষে ৫ জন মারা গেছেন। পরিস্থিতি মোকাবেলায় লাদাখে কারফিউ জারি করেছে সরকার।
বুধবার সহিংসতা শুরু হলে বিক্ষোভকারীরা বিজেপির স্থানীয় কার্যালয়ে আগুন দেয় এব পুলিশের গাড়ি ভস্মীভূত করে। এতে অন্তত ৩০ পুলিশ সদস্য আহত হন।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী পরিবেশ ও শিক্ষা কর্মী সোনম ওয়াংচুকের বিরুদ্ধে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। ওয়াংচুক ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আমরণ অনশন চালাচ্ছিলেন। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে অনশন ভেঙে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান। তার দাবি, দীর্ঘদিনের বেকারত্ব আর সরকারের উদাসীনতা যুবকদের হতাশ করে রাস্তায় নামিয়েছে।
আরও পড়ুন: লাদাখে জেন-জির বিক্ষোভ ভয়াবহ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে, নিহত ৪
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীর ভেঙে লাদাখকে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। এতে অঞ্চলের বিশেষ মর্যাদা বাতিল হযয়ে যায়। আগে বৌদ্ধ অধ্যুষিত লাদাখে একাংশ লেহ আলাদা অঞ্চল চাইত, আর মুসলিম অধ্যুষিত কারগিল চাইত কাশ্মীরে একীভূত হতে। কিন্তু এখন এই দুই সম্প্রদায় একত্রে মিলে আলাদা রাজ্য মর্যাদা ও জমি-চাকরির কোটা দাবি করছে।
স্থানীয়রা বলছে, সরকারের বারবার সংলাপ বিলম্বিত করা এবং বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ আরও তীব্র হয়েছে। অন্যদিকে সরকার দাবি করেছে, ২০২৩ সাল থেকে আলোচনার মাধ্যমে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে। আর আন্দোলনকারীরা বলছেন, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি এবং লাদাখের সংস্কৃতি ও সম্পদ হুমকির মুখে পড়েছে।
কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভারতের এই অঞ্চল চীন ও পাকিস্তানের সীমান্ত ঘেঁষা। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সংঘর্ষে অন্তত ২০ ভারতীয় ও ৪ চীনা সেনা নিহত হয়েছিল।























