
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সান মারিনো। শনিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদফতরে এই ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুকা বেক্কারি।
তিনি জানান, গত ১৫ মে সান মারিনোর সংসদ সর্বসম্মতভাবে সরকারকে এ বছরের মধ্যেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ম্যান্ডেট দেয়। “আজ এই সাধারণ পরিষদের সামনে আমরা সেই ম্যান্ডেট পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি—সান মারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে।” তার বক্তব্যে করতালিতে মুখরিত হয় জাতিসংঘের হলরুম।
বেক্কারি বলেন, সান মারিনো ফিলিস্তিনকে “জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী নিরাপদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমারেখার ভেতরে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে” স্বীকৃতি দিচ্ছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “রাষ্ট্র পাওয়া ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার; এটি কখনোই হামাসের জন্য পুরস্কার নয়।”
সান মারিনোর এই অবস্থান গত জুলাইয়ে সৌদি আরব ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনেই স্পষ্ট করা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গাজা ও পশ্চিম তীরের মানবিক বিপর্যয়কে ‘অসহনীয়’ এবং বেদনাদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী ট্র্যাজেডিগুলোর একটি হিসেবে বর্ণনা করেন বেক্কারি।
তিনি আরও বলেন, গাজায় তাৎক্ষণিক ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, পূর্ণ ও বাধাহীন মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ এবং পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বেআইনি বসতি স্থাপন বন্ধ করা জরুরি, কারণ তা শান্তির যেকোনো বাস্তব সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ঐক্য ও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ না করলে দুটি জাতির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বপ্ন হারিয়ে যাবে। এই অন্ধকার সময়ে আমাদের দায়িত্ব হয়ে উঠেছে আরও জরুরি।























