
ইসরায়েলকে অতিরিক্ত সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার বিরোধিতা করছেন মার্কিন ভোটারদের অর্ধেকের বেশি। নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ৫১ শতাংশ মার্কিনি ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা না পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছেন।
জরিপে অংশ নেওয়া ৩৫ শতাংশ উত্তরদাতা ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে আপত্তি জানান। বিপরীতে মাত্র ১৯ শতাংশ জোরালোভাবে সমর্থন করেছেন। তবে এরই মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরায়েলের প্রতি সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। তারা সম্প্রতি ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন চাইছে, যার মধ্যে রয়েছে অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, আর্টিলারি ও সাঁজোয়া যান।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর প্রায় দুই বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের প্রতি জনসমর্থনে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। জরিপে প্রথমবারের মতো প্যালেস্টাইনের সমর্থন ইসরায়েলের চেয়ে বেশি হয়েছে। সোমবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ৩৫ শতাংশ মার্কিনি প্যালেস্টাইনের পক্ষে এবং ৩৪ শতাংশ ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বাকি অংশ কোনো পক্ষ নেননি বা মত দেননি।
১৯৯৮ সালে এই বিষয়ে জরিপ শুরু হওয়ার পর এটাই প্রথমবার যখন প্যালেস্টাইনের সমর্থন ইসরায়েলের চেয়ে এগিয়ে গেছে। তুলনায়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের পক্ষে ছিল ৪৭ শতাংশ এবং প্যালেস্টাইনের পক্ষে মাত্র ২০ শতাংশ ভোটার।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই মনে করছেন, ইসরায়েল গাজায় সাধারণ মানুষের প্রাণ রক্ষা করতে যথেষ্ট উদ্যোগ নিচ্ছে না। ৬২ শতাংশ উত্তরদাতার মতে, ইসরায়েল পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করছে না। এমনকি ৪০ শতাংশ মনে করেন, ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে—যেখানে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এই হার ছিল মাত্র ২২ শতাংশ।
বয়সভেদে মতভেদ স্পষ্ট। ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সী ভোটারদের মধ্যে ৬১ শতাংশ প্যালেস্টাইনের পাশে রয়েছেন। রাজনৈতিক দিক থেকেও বিভাজন দেখা গেছে। ডেমোক্র্যাট ভোটারদের ৫৪ শতাংশ প্যালেস্টাইনকে সমর্থন করেছেন, বিশেষত সাদা ও কলেজশিক্ষিত অংশ। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের বেশিরভাগ এখনো ইসরায়েলের পক্ষেই থাকলেও তাদের সমর্থন কমে এসেছে।























