সিউল, ১৬ মার্চ, ২০১৩:
দুর্ঘটনা নয়, হাইজ্যাক হয়েছে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনস৷ আর বিমান অপহরণের নেপথ্যে রয়েছেন বিমান চালক স্বয়ং৷ এমনকি চালক ছাড়াও ওই বিমানে আরো একজন উপস্থিত ছিলেন যিনি বিমান চালনায় অভিজ্ঞ৷ শনিবার এমনই দাবি করেছেন মালয়েশিয়া সরকারের মুখপাত্র৷
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রজক এদিন সাংবাদিক বৈঠকেও অপহরণের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন৷ তিনি বলেন, “অপহরণের আগে বিমানটির সঙ্গে গ্রাউন্ড অফিসারদের যাবতীয় সংযোগ বিচ্ছিন্ন্ করে দেয়া হয়েছিল৷ সরকারি তরফে নানা জায়গায় নানা ভাবে বহু তল্লাশি হয়েছে৷ কিন্তু এখনো পর্যন্ত বিমানটির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি৷”
স্বাভাবিকভাবে মালয়েশিয়ার বিমান রহস্য নতুন মোড় নিল৷ সমাধান সূত্র খুঁজতে জটিলতা আরও বাড়ল৷ জানা গিয়েছে, চালকের সঙ্গে সেদিন বিমান চালনায় অতি দক্ষ আরও একজন ছিলেন৷ কে তিনি? অপহরণের পিছনে শুধু কী দ্বিতীয় রহস্যময় ব্যক্তি? নাকি আরো কেউ বা কোনো দল যুক্ত রয়েছে?
জানা গিয়েছে, বোয়িং ৭৭জ্জ-২০ঙ্ম এমএইচ ৩৭ঙ্ম-এর ককপিট অ্যাসেম্বলিং-এর কাজ করেছিলেন বিমান চালক জাহারি আহমেদ শাহ নিজেই৷ সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ফারিক আব্দুল হামিদ৷ আপাতত সন্দেহের তীর রয়েছে জাহারি ও ফারিকের দিকেই৷ তারা কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা৷
বিমান অপহরণের খবর কোনো গুজব নয়৷ এ বিষয়ে নিশ্চিত মালয়েশীয় সরকার৷ তবে ঠিক কী কারণে বেজিংগামী বিমানটি অপহরণ করা হলো? গত আট দিন ধরে কোথায় আছেন বিমানের ২৩৯ জন আরোহী? আদৌ কি তারা জীবিত রয়েছেন? এসব প্রশ্নের জবাব নেই মালয়েশিয়ার তদন্তকারী অফিসারদের কাছে৷ অপহরণের উদ্দেশ্য নিয়েও তারা নিশ্চিত নন৷
প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই যদি বিমানটি অপহৃত হয়, তবে সেটি গেল কোথায়? গত এক সপ্তাহে মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামের স্থলভাগ ছাড়াও দক্ষিণ চীন সাগর, মালাক্কা প্রণালী, ভারত মহাসাগরে তন্নতন্ন করে বিমানটিকে খোঁজা হয়েছে৷ পরীক্ষা করা হয়েছে উপগ্রহের ছবিও৷ কিন্তু কোথাও মেলেনি বিমানের খোঁজ৷ বিমান চালক জাহারি ও ফারিকের পক্ষে আস্ত একটা বিমান কোথাও লুকিয়ে ফেলা সম্ভব নয়৷ নাসার মতো সংস্থাও বিমানের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে৷ তাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রাংশেও ধরা পড়েনি নিখোঁজ বিমানের অস্তিত্ব৷
ধবংসাবশেষের একটি টুকরোও না মেলায়, জাহারি সত্যিই কোথাও বিমানটি লুকিয়ে রেখেছেন কি না তা অস্বীকার করা যাচেছ না৷ একইসঙ্গে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাচেছ না বিমান অন্তর্ঘাত প্রসঙ্গটিও৷ গত ৮ মার্চ কুয়ালা লামপুরের মাটি ছাড়ার পর মাঝ আকাশ থেকে উধাও হয়ে যায় বোয়িংটি। সূত্র: ওয়েবসাইট/নতুনবার্তা।























