সিউল, ১৭ মার্চ ২০১৪:
মালয়েশিয়ার বিমান নিখোঁজ হওয়া তদন্তে সকল মনোযোগ এখন পাইলটদের দিকে। বিমানের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার পর ফ্লাইটের ককপিট থেকে কেউ একজন শেষ কথা বলেন। কর্মকর্তারা এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরই সোমবার ক্যাপ্টেন জাহারি আহমেদ শাহ ও তার ফার্স্ট অফিসার ফারিক আবদুল হামিদের বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা তদন্তে জোর তৎপরতা শুরু করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কমিটির চেয়ারম্যান মাইকেল ম্যাককোল বলেন, এ পর্যন্ত আমি সার্বিকভাবে যতো তথ্য পেয়েছি তাতে সব সন্দেহের তীর পাইলটের দিকেই যায়।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় প্রাপ্ত সকল তথ্যের জের ধরে তদন্তে বিমানের ককপিট, পাইলট নিজে ও তার সহকারীর ওপর জোর দিতে হবে। এর আগে রোববার মালয়েশিয়ার পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে এয়ারক্রাফট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড অ্যাডড্রেসিং অ্যান্ড রিপোর্টিং সিস্টেম (এসিএআরএস) বন্ধ করে দেয়ার পর বিমানের ককপিট থেকে সর্বশেষ কথা ছিল ‘ঠিক আছে, শুভরাত্রি’। কেউ একজন শান্তভাবে কথাটি বলেন। কিন্তু কে বলেছেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে শেষ কথা যিনি বলেছেন তিনি এসিএআরএস পদ্ধতি বন্ধ করতে জানেন।
এছাড়া কর্মকর্তারা বলছেন, বিমানটির যোগাযোগের দুটি ব্যবস্থা ১৪ মিনিটের ব্যবধানে একে একে বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমে এসিএআরএস সিস্টেম এবং পরে ট্রান্সপন্ডার (বেতারবার্তা পাঠানোর যন্ত্র) বন্ধ হয়ে যায়। মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানটি ৮ মার্চ ভোরে ২৩৯ আরোহী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে উড্ডয়নের ঘন্টা খানেকের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়। বিমানটি বেইজিং যাচ্ছিল। বেসামরিক রাডার থেকে অদৃশ্য হওয়ার পরও এটি কিছু সময় সামরিক রাডারে ধরা পড়ছিল। কিন্তু এটিই সেই বিমান কিনা তা কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিভাবে নিশ্চিত হতে পারেননি।
এদিকে নিখোঁজ হওয়ার পর গত ১০ দিন ধরে বিমানটি উদ্ধারে আর্ন্তজাতিক উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে বিমানটি নিখোঁজ হওয়া নিয়ে মালয়েশিয়া একের পর এক তথ্য দিয়ে যাচ্ছে যা পরস্পর বিরোধী বলে অভিযোগ করেছে চীন। উল্লেখ্য, বিমানটির দুই তৃতীয়াংশ যাত্রীই চীনের।























