জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম উৎপাদনকারী কোম্পানি নির্ধারণ করতে পারবে না, তা সরকারই করবে—এমন রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (২৫ আগস্ট) বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন, সংবিধানের ১১২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। তাই জীবনরক্ষাকারী ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে।
হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) ২০১৮ সালে জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেছিল। আবেদনকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ জানান, ১৯৮২ সালের ড্রাগ কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী সরকার ১৯৯৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ৭৩৯ ধরনের ওষুধের দাম নির্ধারণ করেছিল।
কিন্তু ১৯৯৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি সার্কুলার জারি করে ১১৭ ধরনের ওষুধের দাম নির্ধারণ করে বাকি ওষুধের দাম কোম্পানির হাতে দিয়েছিল। হাইকোর্ট এই সার্কুলারকে আজ অবৈধ ঘোষণা করেছে।
মনজিল মোরশেদ বলেন, “ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও কিডনি সমস্যায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো জীবনরক্ষাকারী হিসেবে গণ্য হয়। হাইকোর্টের রায়ের পর এসব ওষুধের দাম সরকার নির্ধারণ করবে, কোম্পানি নয়। ওষুধের দাম মানুষের জীবন অধিকারের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত, তাই সরকারের ক্ষমতা সীমিত করা এবং সার্কুলার জারি করা নাগরিকের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।”
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দ এজাজ কবির জানান, বিদ্যমান আইনের আলোকে ওষুধের দাম নির্ধারণের জন্য ইতোমধ্যে সরকার একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে।
শুনানির সময় ড্রাগ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসকে মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন।
