রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক আদালত ২৯ অগাস্ট ২০২৫, ১২:১৯ অপরাহ্ন
শেয়ার

সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় সাবেক মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জন কারাগারে


Latif-siddiqui
রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত জামিন নামঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।

সকালে পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তৌফিক হাসান তাদের জেলে আটক রাখার আবেদন জানান। আবেদনে বলা হয়, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ‘মঞ্চ ৭১’ এর ব্যানার ব্যবহার করে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন এবং উপস্থিতদের উসকে দেন। তার বক্তব্যের পরপরই লোকজন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট স্লোগান দিতে শুরু করে।

তদন্ত কর্মকর্তার দাবি, আসামিরা পরস্পর সহায়তাকারী হিসেবে দেশ অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন। মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় এবং আসামিদের নাম-ঠিকানা যাচাই সম্পূর্ণ না হওয়ায় তাদের জেলে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। পাশাপাশি পরবর্তী সময়ে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদনও করা হবে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, মঞ্জুরুল আলম, কাজী এটিএম আনিসুর রহমান বুলবুল, গোলাম মোস্তফা, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. জাকির হোসেন, মো. তৌছিফুল বারী খান, মো. আমির হোসেন সুমন, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, মো. শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, দেওয়ান মোহাম্মদ আলী ও মো. আব্দুল্লাহীল কাইয়ুম।

আসামিপক্ষে আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখিসহ অন্যরা জামিনের আবেদন করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গত ৫ আগস্ট আত্মপ্রকাশ করে ‘মঞ্চ ৭১’। সংগঠনের দাবি ছিল, জাতির অর্জন মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া।

এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত ২৮ আগস্ট সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সকাল ১১টার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হলেও কিছুক্ষণ পর একদল ব্যক্তি স্লোগান দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে হট্টগোল শুরু করে।

তারা সভাস্থলের দরজা বন্ধ করে কয়েকজন অংশগ্রহণকারীকে লাঞ্ছিত করে, আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং উপস্থিতদের অবরুদ্ধ করে রাখে। আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানকে দীর্ঘ সময় অবরুদ্ধ রাখা হয়। পরে পুলিশ এসে ১৬ জনকে আটক করে।

ঘটনার পর শাহবাগ থানার এসআই আমিরুল ইসলাম সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর আসামিদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।