শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক আদালত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
শেয়ার

আখতারকে ডিম নিক্ষেপে অর্থের যোগান দিয়েছেন মোজাম্মেল: তদন্ত কর্মকর্তার দাবি


Egg thrown

যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী ও এনসিপি নেতা আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোজাম্মেল হক অর্থায়ন করেছেন বলে আদালতে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে রিমান্ড শুনানিতে এ তথ্য তুলে ধরেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার এসআই আব্দুস সালাম।

তিনি জানান, নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি এবং মোজাম্মেল হক আওয়ামী লীগের কর্মসূচির আয়োজনে সক্রিয় ছিলেন। নিউইয়র্কে আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় মোজাম্মেল বিকাশের মাধ্যমে অর্থ পাঠিয়েছেন। তাদের কার্যক্রমের উদ্দেশ্য ছিল দেশকে অস্থিতিশীল করা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন ঘটানো।

এর আগে দুপুরে আসামি কবিরুল হক মুক্তি ও মোজাম্মেল হককে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আসামিরা হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাতেন। সাবেক এমপি মুক্তি এসব কাজে পেছন থেকে ভূমিকা রেখেছেন। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী তিন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মানহানি ও অপমানের জন্যই নিউইয়র্কে আক্রমণের পরিকল্পনা হয়েছিল। সেই ঘটনায় মোজাম্মেলের অর্থায়নের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

রিমান্ডের বিরোধিতা করে কবিরুল হক মুক্তির আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৬০ বছর বয়সে তিনি আর ছাত্রলীগের কার্যক্রমে যুক্ত নন। প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতে পারে। শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় রিমান্ডে নেওয়া ঠিক হবে না।

মোজাম্মেল হকের পক্ষে আইনজীবী না থাকায় তিনি নিজেই আদালতে বক্তব্য দিয়ে বলেন, তার বয়স ৭০ বছরের বেশি এবং তিনি ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে ভুগছেন। গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন না বলে দাবি করেন তিনি। আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “শরীর খারাপ, আমাকে বাঁচার সুযোগ দিন। প্রয়োজনে থানায় গিয়ে থাকব।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত কবিরুল হক মুক্তি ও মোজাম্মেল হককে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার নথি অনুসারে, ১২ সেপ্টেম্বর গুলশানের ফজলে রাব্বী পার্কের পাশে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে সড়ক ভাঙচুরের চেষ্টা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করে এবং তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করে। ফোনগুলোতে থাকা হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও টেলিগ্রাম গ্রুপ থেকে দেখা যায়, আসামিরা রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার জন্য সক্রিয়ভাবে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।