
বায়োমেট্রিক কার্যক্রমে মালদ্বীপ প্রবাসীরা।
মালদ্বীপে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন না করায় দেশত্যাগের শঙ্কায় পড়েছেন ২৭ হাজারেরও বেশি প্রবাসী শ্রমিক। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৭,৭২৩ জন বিদেশি শ্রমিক এখনো বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন করেননি।
আগামী এক মাসের মধ্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন না করা প্রবাসীদের বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে মালদ্বীপ সরকার। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন না করলে তাদের বিরুদ্ধে ইমিগ্রেশন আইনের আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রবাসীদের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফরমেশন টেকনোলজি (এনসিআইটি) ভবনে অবস্থিত জব সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য জমা দিতে হবে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যমতে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে—বৈধ কারণ ছাড়াই অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে নিবন্ধন না করা প্রবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত বছরের মে মাসে শুরু হওয়া ‘অপারেশন কুরাঙ্গি’ উদ্যোগের আওতায় দেশজুড়ে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। রাষ্ট্রপতি ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু ২৪ সেপ্টেম্বর এক ঘোষণায় জানান, এ পর্যন্ত ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৮২ জন প্রবাসীর বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে।
ইতোমধ্যে ইমিগ্রেশন ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ অনিয়মিত প্রবাসীদের শনাক্ত ও অপসারণে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষমতার প্রথম তিন বছরের মধ্যেই অবৈধ অভিবাসন সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পুলিশও স্পষ্ট জানিয়েছে, অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ বা কর্মরত বিদেশিদের প্রতি কোনো সহনশীলতা দেখানো হবে না।
এ প্রসঙ্গে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর মো. সোহেল পারভেজ বলেন, বায়োমেট্রিক নিবন্ধন এখন বাধ্যতামূলক প্রক্রিয়া। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন না করলে প্রবাসীরা ইমিগ্রেশন আইনের আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে পারেন।
তিনি মালদ্বীপে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “প্রবাসীরা যেন দ্রুততম সময়ে বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করেন, যাতে কোনো ধরনের জটিলতায় পড়তে না হয়।”





























