
ফাইল ছবি
চলতি নভেম্বরের প্রথম পাঁচ দিনেই দেশে এসেছে ৫৮ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার প্রবাসী আয়—যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩৯ শতাংশ বেশি। ২০২৪ সালের নভেম্বরের প্রথম পাঁচ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ৪২ কোটি ১০ লাখ ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, শুধু ৫ নভেম্বর একদিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের শুরু থেকে (১ জুলাই) ৫ নভেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৭৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ৯৩৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার। অর্থাৎ, চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুটি উৎস হলো পণ্য রপ্তানি ও প্রবাসী আয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুই খাতের চিত্র ভিন্ন। রেমিট্যান্স যেখানে আশাব্যঞ্জক প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে, সেখানে রপ্তানি খাতে দেখা যাচ্ছে স্থবিরতা।
বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চার মাসে মোট রপ্তানি আয় হয়েছে ১ হাজার ৬১৪ কোটি ডলার—গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ।
এর মধ্যেও উদ্বেগের বিষয় হলো, গত তিন মাস ধরে রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে কমছে। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে রপ্তানি হয়েছে ৩৮২ কোটি ডলার, যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম।
অন্যদিকে, প্রবাসী আয়ের ধারা ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে দেশে এসেছিল ৩ হাজার ৩৩ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স—যা তার আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমানে বেশি।



























