
বেসরকারি সংগঠন ‘আমরাই পারি’র চেয়ারপারসন ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ হবে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদার দেশ- এ লক্ষ্য থেকে কোনো বিচ্যুতি গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে দেশে শান্তি লঙ্ঘিত হবে। সরকারের দায়িত্ব মানুষকে মাথা উঁচু করে শান্তিতে বসবাসের নিশ্চয়তা দেওয়া। যে সরকার তা নিশ্চিত করে সেই সরকারই সু-সরকার; আর যে সরকার পারে না, তাকে আমরা প্রশংসা করব না- সমালোচনা করব।’
সোমবার দুপুরে নাটোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘সমতল আদিবাসী সম্মেলন-২০২৫’-এ সভাপ্রধানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনের আয়োজন করে ‘আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট’।
সুলতানা কামাল বলেন, দেশের মালিক জনগণ, সরকার সেই জনগণের সেবক। তিনি বলেন, ‘জনগণের হেফাজতের জন্যই আমরা সরকারকে নির্বাচিত করি। নির্বাচনের সময় কিন্তু আমরা কারও বাড়ি গিয়ে বলি না- আপনি নির্বাচিত হন। বরং তারাই আমাদের কাছে এসে বলেন- আমাদের নির্বাচিত করুন। সুতরাং সেবা করার সুযোগ তাঁরা চেয়ে নেন বলে, নির্বাচনের পর সে দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করছে কি না তা দেখা সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব।’
প্রত্যেক মানুষ যে মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্ব বহন করে, সেটিও তার বক্তব্যে তুলে ধরেন তিনি। ‘প্রত্যেক মানুষই মানবাধিকারকর্মী,’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিজ অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকা, নিজের অধিকার রক্ষা করা এবং অন্যের অধিকার লঙ্ঘিত হলে প্রতিবাদ করা- এটাই মানবিক দায়িত্ব ও নৈতিক কর্তব্য।’
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন ‘আমরাই পারি’ পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের প্রধান নির্বাহী জিন্নাত আরা হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর নুজহাত জাবিন। বক্তব্য দেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নীলা হাফিয়া, পিকেএসএসের নির্বাহী পরিচালক ডেইজি আহমেদ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতা আশিক চন্দ্র বানিয়াজ, আদিবাসী কমিউনিটির সদস্য লাবনী এক্কা ও মাধবী রাণী প্রমুখ।























