হাঙ্গেরিতে শরণার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। খাবারের ব্যাগ ছুড়ে দিয়ে তাদেরকে খেতে দেয়া হচ্ছে পশুর মতো করে।
হাঙ্গেরির সার্বিয়া সীমান্তের কাছে একটি শরণার্থী শিবিরে থাকা মানুষগুলো এ বিরূপ আচরণের শিকার হচ্ছে। একটি ভিডিওতে এমনই চিত্র ফুটে উঠেছে।
এতে দেখা গেছে, শরণার্থীরা খাবারের জন্য অপেক্ষা করছে আর হাঙ্গেরির পুলিশ তাদের দিকে খাবার ছুড়ে মারছে। কারো ভাগ্যে খাবার জুটছে, কারো ভাগ্যে জুটছে না।
মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’ এর পরিচালক বলেছেন, মানুষজনকে ‘গরুছাগল খাঁচায় পুরে রাখার মতো’ করে আটকে রাখা হয়েছে।
শরণার্থী শিবিরে ত্রাণ বিতরণের সময় অস্ট্রিয়ার গ্রিন পার্টির এক রাজনীতিবিদের স্ত্রী মাইকেলা স্প্রিজেনডোরফার এবং এক সাংবাদিক ক্লস কুফনার এ অমানবিক পরিস্থিতির চিত্র তোলেন।
মাইকেলা জানান, “মানুষগুলো তিনমাস ধরে ভয়াবহ যাত্রাপথ পাড়ি দিয়েছে। তাদের অনেকেই সাগর পাড়ি দিয়েছে, নৌকায় যাত্রা করেছে, বনজঙ্গলের ভেতর দিয়ে গেছে, অনেক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছে। আর আমরা ইউরোপীয়রা এখানকার শরণার্থী শিবিরে তাদেরকে পশুর মতো রেখেছি।”
বিবিসি’কে তিনি বলেন, “এখন আসলেই সীমান্ত খুলে দেয়াটা ইউরোপীয় রাজনীতিবিদদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
শরণার্থীদের সঙ্গে হাঙ্গেরির এমন আচরণের সমালোচনা করেছে মানবাধিকার কর্মীরা। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা বিষয়ক পরিচালক পিটার বউকার্ট হাঙ্গেরির রোসকে গ্রামের পরিস্থিতি ‘অমানবিক’ বলে বর্ণনা করেছেন।
শরণার্থী ঢল সামলাতে এবং সীমান্ত সুরক্ষার জন্য হাঙ্গেরির সেনাবাহিনী বুধবার থেকে সামরিক মহড়া শুরু করেছে। সার্বিয়ার সঙ্গে হাঙ্গেরির সীমান্তে বেষ্টনীও দেয়া হচ্ছে।
শরণার্থী ইস্যুতে যেখানে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশগুলোও ধীরে ধীরে নরম হচ্ছে তখনো হাঙ্গেরি তার অবস্থান থেকে সরে আসছে না।
ইউরোপীয় কমিশন চায় ইইউভুক্ত ২৮ টি সদস্যদেশ বছরে ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থী ভাগ করে নিক। কিন্তু হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, পোল্যান্ড এবং স্লোভাকিয়া এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।(বিডিনিউজ২৪)





























