রবিবার । ডিসেম্বর ৭, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক জাতীয় ৩০ অক্টোবর ২০১৩, ১১:৫০ অপরাহ্ন
শেয়ার

পাঁচ বছরে কোরিয়ায় পোশাক রফতানি বেড়েছে ৬৯ শতাংশ


সিউল, ৩০ অক্টোবর ২০১৩:

বাংলাদেশ প্রতিবছর কোরিয়ায় ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে। মূল্যের বিবেচনায় গত পাঁচ বছরে কোরিয়ায় বাংলাদেশি তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ গড়ে শতকরা ৬৯ ভাগ বেড়েছে।

কোরিয়াভিত্তিক টেক্সটাইল টেস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মনোনীত টেস্টিং ল্যাবরেটরি কটিটি বাংলাদেশ লিমিটেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইয়ান ইয়াং এ তথ্য জানান। বুধবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

image_51971_0অনুষ্ঠানে কটিটি টেস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কিম জাং-সো, বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শহীদুল্লাহ আজিম, স্পিনার্স অ্যান্ড উইভার্স অ্যাসোসিয়েশন অব কোরিয়ার চেয়ারম্যান কিম জুন বক্তব্য দেন।

রাষ্ট্রদূত লি ইয়ান ইয়াং জানান, কোরিয়ান দেইও কোম্পানি ১৯৭৭ সালে যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে আধুনিক তৈরি পোশাকশিল্পের সূচনা করে। বর্তমানে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প খাতে ২২০টি কোরিয়ান কোম্পানির বিনিয়োগ রয়েছে, যেখানে কর্মসংস্থান হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজারের বেশি লোকের।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, গুণগত মানের জন্য বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। এ শিল্প খাতের আধুনিকায়ন ও মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। নতুন স্থাপিত এ ল্যাবরেটরি বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পে আধুনিক প্রযুক্তি হন্তান্তরের সুযোগ সৃষ্টি করবে।

দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জনের জন্য বিশ্বমানের টেস্টিং ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোরিয়ান এ ল্যাবরেটরি দেশীয় তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষণ সুবিধা সহজলভ্য করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত, প্রায় দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগে কটিটি বাংলাদেশ লিমিটেড স্থাপন করা হয়েছে। এতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে টেক্সটাইলের ফিজিক্যাল ও অ্যানালিটিক্যাল টেস্টিং করা হবে। এর ফলে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা অপেক্ষাকৃত কম খরচে মানসনদ নিতে পারবেন। এটি দেশের পোশাকশিল্পে মূল্য সংযোজন ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে ইতিবাচক অবদান রাখবে। সূত্রঃ নতুন বার্তা।