সোমবার । ডিসেম্বর ৮, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক আন্তর্জাতিক ৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

বিক্ষোভে উত্তাল জর্জিয়া, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ঢোকার চেষ্টা জনতার


Georgia

ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের আলোচনায় স্থবিরতা ও গত বছরের পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কারচুপির অভিযোগকে কেন্দ্র করে জর্জিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ ও রাজনৈতিক উত্তেজনা বিবিসি, এপিআই ও রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় কভার করা হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচন উপলক্ষে শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানী তিবলিসিতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নামে এবং অংশগ্রহণকারীরা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে; নিরাপত্তা বাহিনী তাদের ধাওয়া করে জলকামান ও পিপার স্প্রে ব্যবহার করে ছত্রভঙ্গ করে।

প্রতিবাদকারীরা অভিযোগ করছে, ২০২৪ সালের বিতর্কিত পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর থেকে শাসক দল জর্জিয়ান ড্রিম অনৈতিকভাবে ক্ষমতায় টিকে আছে এবং এরপর থেকেই দেশটি রাজনৈতিক অচলাবস্থায় পতিত হয়েছে। বিরোধীদলগুলো বলছে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে ভোটবর্জনের মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ দেখিয়েছে; সরকারের সিদ্ধান্তে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যোগদানের আলোচনা স্থগিত রয়েছে এই কারণেই জনরোষ তীব্র হয়েছে।

সকাল-বিকেলে তিবলিসির বিভিন্ন সড়কে মিছিল চলার সময় অপেরা শিল্পী পাতা বুড়চুলাদজে-সহ অংশগ্রহণকারীরা সরকারি দায়িত্বশীলদের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পরে অংশকদের একাংশ প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে গিয়ে সেখানে ঢুকতে চেষ্টা করলে নিরাপত্তা বাহিনী কড়া হস্তে ব্যবস্থা নেয়; অন্তত কয়েকজন সংগঠক ও বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ ও দাঙ্গা দমন বাহিনী রুস্তাভেলি এভিনিউ ও আশপাশের রাস্তায় জলকামান, পিপার স্প্রে ও সংঘর্ষমূলক কৌশল প্রয়োগ করে; পরে কয়েকশ’ জনের বিরুদ্ধে সড়ক অবরোধ ও আইনভঙ্গের অভিযোগে জরিমানার কথা বলেছে কর্তৃপক্ষ। প্রান্তিক অংশগ্রহণকারীরা সরকারী নজরদারি ও বিরোধী নেতাদের ব্যাপক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকে বলছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করা হচ্ছে এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রতি চাপ বাড়ছে।

এক তরুণী বিক্ষোভকারী জানান, “চেনা যাবে না এমন কালো পোশাক ও হেলমেট পড়েছি—কারণ রঙিন পোশাক হলে আমাদের চিনে ধরে আটক করা হবে।” প্রতিবাদকারীরা সরকারি নজরদারি বর্ধিত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন; শহরের কয়েকটি প্রধান সড়কে সাম্প্রতিক কালে উন্নত নজরদারি ক্যামেরা বসানোর খবরও আছে। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ অবস্থার ফলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি উন্মুখ অভিমান—অর্থাৎ ইইউ-সদস্য বিষয়ে নতুন করে সংশয় দেখা দিয়েছে। ব্যাপক বিক্ষোভ ও তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া চলমান অবস্থাকে আরও জটিল করে তুলেছে।