৩৩ প্রকার অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)। আজ বুধবার রাজধানীতে কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামাদ মৃধা।
তিনি জানান, কাঁচামাল সরবরাহে সিন্ডিকেট ভেঙে যৌক্তিক দামে র-ম্যাটেরিয়াল ক্রয়ের ব্যবস্থা করায় উৎপাদন খরচ কমেছে, ফলে এ দাম হ্রাস সম্ভব হয়েছে।
অ্যান্টিবায়োটিক, নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বর, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, কৃমিনাশক, ব্যথানাশক, হাঁপানি ও ভিটামিনের ওষুধের দাম ১০–৫০ শতাংশ কমানো হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে দাম কমেছে—ওমিপ্রাজল ক্যাপসুল, কেটোরোলাক ইনজেকশন, অনডানসেট্রন ইনজেকশন, সেফট্রিয়াক্সোন ও সেফটাজিডিম ইনজেকশন, মেরোপেন ও ওমিপ্রাজল ইনজেকশন। এ ছাড়া মনটিলুকাস্ট ট্যাবলেটের দাম ১০ টাকা ৬৭ পয়সা থেকে পাঁচ টাকা করা হয়েছে।
গ্রামীণ ক্লিনিকের তালিকাভুক্ত ৩২ ওষুধের মধ্যে ২২টির দামও কমেছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্যাস্ট্রিকের অ্যান্টাসিড, প্যারাসিটামল, সালবিউটামল, অ্যালবেনডাজল, ক্লোরামফেনিকল আই ড্রপ, মেটফর্মিনসহ নানা ওষুধ।
সামাদ মৃধা আরও জানান, ইডিসিএলের উৎপাদনক্ষমতার তুলনায় ২ হাজারের বেশি অতিরিক্ত জনবল ছিল, যাদের অনেকের সনদ জাল ও কাজের অভিজ্ঞতা ছিল না। এর মধ্যে ৭২২ জন অদক্ষ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, “প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে আরও এক হাজারের বেশি কর্মী ছাঁটাই করতে হবে। যাদের ছাঁটাই করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ছিল।”


























