শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক শিক্ষা ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৮:০৪ অপরাহ্ন
শেয়ার

‘শিক্ষক নিয়োগ হবে বিশেষ বিসিএসের আদলে’


Teacher-recruit-exam
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতিতে আসছে আমূল পরিবর্তন। আর থাকছে না আলাদা নিবন্ধন পরীক্ষা। নতুন বিধি অনুযায়ী, সরাসরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এই বিধি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

কেমন হবে নতুন নিয়োগ পদ্ধতি

সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বিশেষ বিসিএসের আদলে নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে।

প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা—এই তিন ধাপের পরীক্ষার ধরণ পরিবর্তন করে একীভূত আকারে নেওয়া হবে।

২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে, যার মধ্যে কিছু থাকবে এমসিকিউ আর কিছু বর্ণনামূলক প্রশ্ন।

শূন্যপদের সংখ্যার দ্বিগুণ প্রার্থীকে ভাইভায় ডাকা হবে।

চূড়ান্তভাবে শূন্যপদের ২০ শতাংশ বেশি প্রার্থীকে পাস করানো হবে, যাতে কেউ যোগ না দিলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া যায়।

কেন আসছে পরিবর্তন

বর্তমানে এনটিআরসিএর মাধ্যমে বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ হয়। এই পদ্ধতিতে প্রার্থীদের দুইবার আবেদন করতে হয়। প্রথমে নিবন্ধন পরীক্ষার জন্য, পরে গণবিজ্ঞপ্তির জন্য। অনেকে নিবন্ধন সনদ নিতে নিতে বয়সসীমা পার হয়ে যান, ফলে আর আবেদন করতে পারেন না। এসব অসামঞ্জস্য দূর করতেই নতুন বিধি প্রণয়ন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যানের মো. আমিনুল ইসলাম জানান, “আগের মতো আলাদা নিবন্ধন পরীক্ষা আর থাকবে না। অনেকটা বিশেষ বিসিএসের মতো হবে। যখন বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে তখন থেকেই বয়স গণনা শুরু হবে। এতে প্রার্থীরা বয়স নিয়ে বঞ্চিত হবেন না। আগামী ১৯তম নিবন্ধনের পরিবর্তে নতুন পদ্ধতিতেই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।”

আমিনুল ইসলাম বলেন, দেখা গেল, ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কিছুটা এমসিকিউ, আবার কিছুটা লিখিত থাকছে। আর সব শেষে ভাইভা। যা প্রার্থীদের জন্যও সহজ হবে।

সংশোধিত বিধিটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য আছে। সেখান থেকে এলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় তা জারি করবে। এই বিধি জারি হলে পিএসসির আদলে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান।

মূল পরিবর্তন এক নজরে

১. নিবন্ধন পরীক্ষা বাদ
২. সরাসরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
৩. বিশেষ বিসিএস ধাঁচে লিখিত ও এমসিকিউ পরীক্ষা
৪. দ্বিগুণ প্রার্থী ভাইভায় অংশ নেবে
৫. অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে নিয়োগের সুযোগ