শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক শিক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:৪৫ অপরাহ্ন
শেয়ার

জাকসু নির্বাচন: আরও চার প্যানেলের নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা, পুনর্নির্বাচনের দাবি


JUCSU
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের চারটি প্যানেল। তারা দ্রুত সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় পুনরায় নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন ছাত্র ইউনিয়ন (অদ্রি–অর্ক), সাংস্কৃতিক জোট ও ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সমর্থিত ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী শরণ এহসান। এতে সংহতি জানায় ছাত্র ইউনিয়ন (ইমন–তানজিম) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থীদের ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) প্যানেল।

লিখিত বক্তব্যে শরণ এহসান অভিযোগ করেন, “নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা, অব্যবস্থাপনা ও অথর্বতা পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। প্রশাসন ও কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের কারণে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হয়নি।”

তিনি জানান, পোলিং এজেন্টদের প্রবেশে বাধা, নারী হলে পুরুষ প্রার্থীর প্রবেশ, ভোটার তালিকায় ছবি না থাকা, আঙুলে কালি না দেওয়া, ভোটারের চেয়ে বেশি ব্যালট ছাপানো, বহিরাগতদের আনাগোনা, লাইন জ্যামিংসহ নানা অনিয়ম ঘটেছে। এতে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে গভীর সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, নির্বাচনের প্রথম দুই ঘণ্টায় পোলিং এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আঙুলে দেওয়া কালি দ্রুত উঠে যাচ্ছিল। কিছু হলে নির্দিষ্ট প্যানেলের লিফলেট বুথে রাখা ছিল। জাহানারা ইমাম হলে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ১০% বেশি ব্যালট পেপার ছাপানো হয় এবং অতিরিক্ত ব্যালট বিভিন্ন স্থানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। নজরুল হলে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রার্থীদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল, পরে হাতে লিখে তা যোগ করা হয়।

শরণ এহসান বলেন, “এই প্রহসনের দায় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের। আমরা এই নির্বাচনকে বর্জন করছি এবং দাবি জানাচ্ছি দ্রুত একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পুনঃনির্বাচনের।”