
ফাইল ছবি
হজ নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হতে আর মাত্র একদিন বাকি। অথচ এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হজ কোটার মাত্র ১৪.৭ শতাংশ পূরণ হয়েছে। এতে করে চলতি মৌসুমে বড় অংশের কোটা খালি থেকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা।
শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার তথ্য অনুযায়ী, হজ পোর্টালে মোট ১৮ হাজার ৭৩৬ জন প্রাথমিক নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ হাজার ৮২৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ৯০৮ জন। অথচ চলতি বছরের জন্য বাংলাদেশকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করেছে সৌদি সরকার।
সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী, হজ নিবন্ধনের শেষ দিন আগামী রবিবার (১২ অক্টোবর)। এ অবস্থায় দ্রুত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে সব হজ এজেন্সিকে তাগিদ দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩২৯টি হজ এজেন্সি এখনো পর্যন্ত কোনো হজযাত্রী নিবন্ধন করেনি। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘হজ প্যাকেজ ও গাইডলাইন ২০২৬’ অনুযায়ী প্রতিটি এজেন্সিকে ন্যূনতম ৪৬ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এটি সম্পন্ন না করলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ৪৮টি এজেন্সি এখনো প্রাক-নিবন্ধনও শুরু করেনি বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার বলেন, “অনেকে সম্প্রতি ওমরাহ পালন করায় হজে যাওয়ার আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে। অনেকে আবার ভেবে নিচ্ছেন, ওমরাহ করলে আর হজের প্রয়োজন নেই—এটা এক ধরনের ভুল ধারণা।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, শেষ মুহূর্তে নিবন্ধনের সংখ্যা বাড়বে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হজে গমনেচ্ছুদের সুবিধার্থে আজ শনিবার ব্যাংক খোলা থাকবে, যাতে সবাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৬ মে ২০২৬ তারিখে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের পবিত্র হজ।




























