শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক শিক্ষা ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৮ অপরাহ্ন
শেয়ার

জাবিতে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে ১৬ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার


Jahangir nagar University

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে নবীন শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে একই বিভাগের ৫৩ ব্যাচের ১৬ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- মো. তানভীর রহমান মুন, মো. আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ, আব্দুল্লাহ আল সাঈদ, মো. আবু তালহা রনি, রাজিব শেখ, এস. এম. মাহামুদুন্নবী, মো. আবু সাইদ, জান্নাতুল আদন, আহম্মেদ আরেফিন রাতুল, তাসনিমুল হাসান জুবায়ের, মো. মাহামুদুল হাসান ফুয়াদ, মো. আল হাসিব, মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান, মো. রাকিবুল হাসান নিবির, মো. জাহিদুল ইসলাম ও উশান্ত ত্রিপুরা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, রোববার রাতে ২১ নম্বর (ছাত্র) হলে ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ৫৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের নির্দেশে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রণীত শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ২০১৮’-এর ধারা ৪(১)(খ) অনুযায়ী অভিযুক্তদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বর্ণনা অনুযায়ী, রাত সাড়ে ১১টার দিকে নবীনদের রফিক-জব্বার চত্বরে ডেকে নিয়ে ২১ নম্বর হলের ৪০৩ নম্বর কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে অন্ধকার কক্ষে দুই সারিতে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। প্রায় ১৫–২০ মিনিট ধরে জ্যেষ্ঠরা শৃঙ্খলা ও নিয়ম-কানুন নিয়ে প্রশ্ন করেন, যা নবীনদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম রাশেদুল আলম ও ২১ নম্বর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বোরহান উদ্দিনকে খবর দিলে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। সেখানে নবীন শিক্ষার্থীদের দাঁড় করিয়ে রাখা এবং তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার বিষয়টি সরেজমিনে দেখা যায়।

তবে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, এটি কোনো র‍্যাগিং নয়- নবীনবরণ অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করছিলেন তারা। কিন্তু হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি উল্লাহ আল-মাহদী বলেন, “আমরা গিয়ে দেখি, দরজা-জানালা বন্ধ করে নবীনদের দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। তারা আতঙ্কিত ছিল। র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”

প্রক্টর রাশেদুল আলম বলেন, “প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

এদিকে এ ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। মওলানা ভাসানী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামানকে সভাপতি, সহকারী প্রক্টর ড. মো. আল-আমিন খানকে সদস্য এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার লুৎফর রহমান আরিফকে সদস্যসচিব করে গঠিত কমিটিকে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।