
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ঘোষিত ১২টি হলের ফলাফলে ভিপি পদে এগিয়ে রয়েছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের মুস্তাকুর রহমান জাহিদ এবং জিএস পদে এগিয়ে আছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার। এ দুই পদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ছাত্রদল) সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা অনেকটা পিছিয়ে আছেন।
শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, ভিপি পদে মুস্তাকুর রহমান জাহিদ পেয়েছেন ৮ হাজার ৪২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের শেখ নূর উদ্দীন আবির পেয়েছেন ২ হাজার ২২৩ ভোট।
জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৫৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৬৩ ভোট।
এজিএস পদে এগিয়ে আছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের এস এম সালমান সাব্বির। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের প্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৯৭ ভোট।
এর আগে রাত সাড়ে ১০টায় মন্নুজান হলের ফলাফলের মধ্য দিয়ে গণনা শুরু হয়। পরবর্তী ধাপে বেগম রোকেয়া, তাপসী রাবেয়া, বেগম খালেদা জিয়া, রহমতুন্নেছা হল, বিজয় ৩৬ হল, সৈয়দ আমীর আলী হল, শাহ মখদুম হল, নবাব আব্দুল লতিফ হল ও শের-ই-বাংলা ফজলুল হক হলসহ মোট ১২টি হলের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ব্যালট বাক্স মিলনায়তনে আনা হয় এবং রাত ৮টায় গণনা শুরু হয়।
রাকসুর ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে মোট প্রার্থী ৮৬০ জন।
এই নির্বাচনে ১১টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে আলোচিত প্যানেলগুলো হলো- ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’, ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্র ফেডারেশনের নেতৃত্বে ‘রাকসু ফর র্যাডিক্যাল চেঞ্জ’, ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’, বাম জোটের ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ’, ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ঘোষিত ‘অপরাজেয় ৭১, অপ্রতিরোধ্য ২৪’, ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত ‘সচেতন শিক্ষার্থী পরিষদ’।
ভিপি ও জিএস পদে এই ব্যবধান বজায় থাকলে রাকসু নির্বাচনে বড় ধরণের অঘটন ঘটাতে পারে ইসলামী ছাত্রশিবির ও আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেল- এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।



























