শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
বাংলা টেলিগ্রাফ ডেস্ক রাজধানী ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৩০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীকে ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাকিব


Shakib

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বগুড়া জেলা কমিটির সাবেক সদস্যসচিব সাকিব খানকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে ঘুষের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ঢাকা মহানগর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে শাহবাগ থানার পক্ষ থেকে পাঠানো নথিতে উল্লেখ করা হয়, সাকিব খান নিজেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পরিচয় দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে ফোনে ঘুষের প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা কয়েক ব্যক্তি খোদা বখস চৌধুরী ও তার সহকারীর নাম ভাঙিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা ও বিসিএস কর্মকর্তাদের পদায়নের আশ্বাস দিয়ে অর্থ আদায় করে আসছিলেন।

গত সোমবার শাহবাগ থানার এসআই শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২২ ও ২৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই যৌথ বাহিনী বগুড়া শহরের নারুলী এলাকা থেকে সাকিব খানকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। বুধবার আদালতে তার জামিন শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম আবেদন নামঞ্জুর করেন।

শাহবাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান আদালতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সাকিব খান একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। সাইবার অপরাধ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে তথ্য পাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। জামিন পেলে তিনি পলাতক হতে পারেন, এতে তদন্ত ব্যাহত হবে।

অন্যদিকে, আসামি সাকিব খানের আইনজীবী মেহেরুন্নেছা জানান, বুধবার আদালতে জামিন আবেদন নামঞ্জুর হলেও আগামী বৃহস্পতিবার পুনরায় আবেদন করা হবে। তিনি আশা করেন, রোববার শুনানি শেষে জামিন মিলতে পারে।

সাকিবের বাবা ফরহাদ হোসেন অভিযোগ করেন, তার ছেলেকে রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাকিব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনামূলক পোস্ট দিয়েছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ তাকে হয়রানি করছে।”

এদিকে, সাকিব খানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বগুড়ায় “সাধারণ ছাত্র-জনতা” ব্যানারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে এনসিপি ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশসহ সব ‘কালো আইন’ বাতিলের দাবি জানান।