
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, জনগণের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তার সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের পর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অনেক ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল, আমাদের অনেক চেষ্টা ও অনেক কষ্টের ফলে, আপনাদের সহযোগিতায় পুলিশ অফিসাররা মনোবল ফিরে পেয়েছেন। আর এই মনোবল ভাঙার চেষ্টা করবেন না, এটা আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখার সাইবার সাপোর্ট সেন্টার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গতকাল রাতে আমার একজন অফিসারকে ককটেল মেরে যেভাবে আহত করা হয়েছে, আপনারা প্লিজ এই নিউজ প্রকাশ করেন। আমার নিরপরাধ অফিসার থানার সামনে রাস্তায় ছিল, নিরপরাধ মানুষটিকে এভাবে ককটেল মেরে আহত করলেন। এতে আমার অফিসারদের মনোবল নষ্ট হয়। এর পরিণতিতে আপনারা-আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।
দুর্বৃত্তায়িত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা চলতে থাকলে জনগণকেই নিজেদের ঘরবাড়ি পাহারা দিতে হবে।
এর আগে, ১৬ নভেম্বর এক বেতার বার্তায় ককটেল নিক্ষেপ বা গাড়িতে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করলে গুলি করার নির্দেশ দেন ডিএমপি কমিশনার। এ বিষয়ে তিনি জানান, নাশকতার করলে গুলি করার বিধান পুলিশ আইনেই রয়েছে। ককটেল মেরে নাশকতা করলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ যখন অরাজকতা ঠেকানোর চেষ্টা করছিল, তখন আমার অফিসারদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি অনুরোধ করব, আমার অফিসারদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করবেন না।
সাইবার সাপোর্ট সেন্টার নিয়ে শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে থাকবে আধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত ল্যাব, দক্ষ তদন্তকারী দল, ডিজিটাল ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ এবং ২৪ ঘণ্টার রেসপন্স টিম। ফেসবুক পেজ, ইমেইল এবং ডিবির অনলাইন চ্যানেলের মাধ্যমে নাগরিকরা সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘ডিবির সাইবার সাপোর্ট সেন্টারে নারী ও কিশোরদের সুরক্ষা অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সামাজিক মাধ্যমে নারী ও কিশোরদের ওপর হয়রানি নিয়ে সাইবার সাপোর্ট সেন্টার বিশেষভাবে তাদের সুরক্ষায় কাজ করবে। হয়রানির শিকার হলে যাতে দ্রুত সাপোর্ট পায় এটাই আমাদের অন্যতম প্রধান অঙ্গীকার। পাশাপাশি, বর্তমান সময়ে অনলাইন জালিয়াতি, প্রতারণা, ডিজিটাল হয়রানি, মানহানি, অনলাইন গ্যাম্বেলিং এসব অপরাধ মানুষের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষাকে গভীরভাবে হুমকির মুখে ফেলছে। তাই জনগণের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ডিএমপি তার সক্ষমতা বাড়াচ্ছে।’
এছাড়াও, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ মোকাবিলায় আধুনিক সক্ষমতা গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই প্রযুক্তিনির্ভর, সময়োপযোগী ও প্রমাণভিত্তিক পুলিশ সেবা নিশ্চিত করা।


























