
সাড়ে ৪ ঘণ্টায়ও নেভেনি কড়াইল বস্তির আগুন
সাড়ে চার ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও রাজধানীর কড়াইল বস্তির আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পানি সংকটের কারণে আগুন নেভাতে মারাত্মক বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টা পর্যন্ত বস্তির বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতোমধ্যে মোট ১৯টি ইউনিট কাজ করছে।
মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কড়াইল বস্তিতে প্রথম আগুন লাগে। প্রচণ্ড যানজটের কারণে দেরিতে পৌঁছে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে আরও ইউনিট যোগ করা হয়। ধাপে ধাপে মোট ১৯ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ঘটনাস্থলে পানির মারাত্মক সংকট বিরাজ করছে। এজন্য অতিরিক্ত কয়েকটি ইউনিট পানিবাহী গাড়ি নিয়ে সেখানে গেছে। তিনি বলেন, “আমাদের কর্মীরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। পানি কম থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় বেশি লাগছে।”
বস্তিটির অধিকাংশ বাসিন্দাই পোশাক কারখানার কর্মী, রিকশাচালক, হকার ও দিনমজুর। বিকেলে আগুন লাগার সময় অনেকে ঘরে ছিলেন না, ফলে অনেকেই ফিরে এসে নিজেদের ঘর আগুনে পুড়তে দেখেন। টিন, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি একতলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত ঘরগুলো মুহূর্তে আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। আগুন লাগার পরপরই পুরো বস্তির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে মানুষজন যেভাবে পারছেন ঘর থেকে সামান্য মালামাল বের করার চেষ্টা করেছেন। স্থানীয়রাও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে চাপকল ও খাল থেকে পানি তুলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বস্তির বড় একটি অংশজুড়ে আগুনের লেলিহান শিখা। বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলি দূর থেকেও দেখা যাচ্ছে। আগুনের উৎস বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে বস্তিবাসীর দাবি—শতাধিক ঘর পুড়ে গেছে।
একদিকে ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, অন্যদিকে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।



























