
ছবি: সংগৃহীত
পরিবারের সঙ্গে বহুদিন পর ঈদ করার স্বপ্ন ছিল তার। টিকিট কাটা থেকে শুরু করে কেনাকাটা—সবই প্রস্তুত ছিল। শুধু অপেক্ষা ছিল দেশে ফেরার দিনের। কিন্তু সেই আকাঙ্ক্ষা আর পূরণ হলো না কুয়েতপ্রবাসী কাসেমের। দেশে ফেরার আগেই মৃত্যুর কাছে হার মানলেন তিনি।
রোববার (২৩ নভেম্বর) কুয়েতের জাহারা এলাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ছত্তরয়া গ্রামের এই প্রবাসী।
কাসেম দীর্ঘদিন ধরে কুয়েতে একটি বাড়ি দেখাশোনার কাজ করতেন। সৎ ও পরিশ্রমী হিসেবে পরিচিত ছিলেন সহকর্মী ও আশপাশের মানুষজনের কাছে। কুয়েত মীরসরাই সমিতির সভাপতি মোহাম্মাদ কামাল হোসেন বলেন, “দেশে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করবেন বলে খুবই উচ্ছ্বসিত ছিলেন কাসেম ভাই। ডিসেম্বরে যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিটও কেটেছিলেন। পরিবারের জন্য কেনাকাটা শেষ করেছিলেন। কিন্তু ঈদের আনন্দ উপহার দেওয়ার আগেই স্ট্রোক করে চলে গেলেন।”
স্বজনদের কাছে তার মৃত্যু সংবাদ পৌঁছানোর পর গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) প্রথম জানাজা করে রাতে বাংলাদেশ বিমানে কাসেমের মরদেহ দেশে পাঠানো হয়েছে।
যে মানুষটিকে দরজায় দাঁড়িয়ে হাসিমুখে বরণ করার স্বপ্ন দেখেছিল পরিবার, সেই স্বপ্ন এখন চূর্ণ হয়ে গেছে। কাসেম ফিরছেন ঠিকই, কিন্তু জীবনের উচ্ছ্বাস নিয়ে নয়—ফিরছেন নিথর দেহ হয়ে। স্বজনরা বুক ভরা কান্না নিয়ে অপেক্ষায় আছে শেষবার তাকে দেখার।




























