
ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আজ শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ফজরের পর আমবয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ি নেজামের আয়োজনে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা।
আগামী মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই বিশেষ আয়োজন। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের শুরায়ি নেজামের গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।
তিনি জানান, প্রতিবছর মূল ইজতেমার পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে এই জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে তাবলিগের সাথীরা সারা বছরের কাজের হিসাব পেশ করেন এবং মুরব্বিদের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা গ্রহণ করেন। এ উপলক্ষে দেশ-বিদেশের শুরায়ি নেজামের প্রবীণ মুরব্বিগণ ইতোমধ্যে টঙ্গীতে এসে পৌঁছেছেন।
জানা যায়, পাঁচ দিনের এই জোড় তাবলিগ জামাতের সোনালি ঐতিহ্য বহন করে; যা দাওয়াতের কাজের চেতনা জাগিয়ে তোলে। এখান থেকেই সারা বছরের কাজের নকশা নির্ধারিত হয়। দাঈদের আমল, দাওয়াত, তরতিব এবং দেশের প্রেক্ষাপটে করণীয়–নিষ্করণীয় বিষয়ে বড়রা গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন। একজন সাথীর দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনের জন্য দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ পাওয়া যায় এই জোড়ে।
জোড় ইজতেমায় অংশ নিতে পারেন কেবল তিন চিল্লার সাথী এবং কমপক্ষে এক চিল্লা সময় লাগানো আলেমরা। এ নিয়মের মাধ্যমে জোড়ের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও গুরুত্ব বজায় থাকে।
o
উল্লেখ্য, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করা হবে।





























