শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
শেয়ার

ব্রুনাইয়ে মানবপাচারের অভিযোগে বাংলাদেশির সাড়ে সাত বছর কারাদণ্ড


law-orderব্রুনাইয়ের দারুসসালামে মানবপাচারের অভিযোগে মো. খাইরুল বাশার নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে সাড়ে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লক্ষ বিশ হাজার ব্রুনাই ডলার জরিমানা এবং ১২ বেত্রাঘাতের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ব্রুনাইয়ের হাইকোর্টে বিচারক মুহাম্মদ ফয়সাল বিন হাজী কেফলি এ রায় ঘোষণা করেন। শুনানিতে খাইরুল বাশার তার অপরাধ স্বীকার করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, খাইরুল বাশার ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ছয়জন বাংলাদেশিকে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ব্রুনাইয়ে নিয়ে যান। পরে তাদের জোরপূর্বক শ্রমে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মানবপাচার ও চোরাচালানবিরোধী আইনে ছয়টি অভিযোগ আনা হয়।

বিচারক রায়ে বলেন, “এই অপরাধ কোনো এককালীন ঘটনা নয়, বরং দুর্বল মানুষদের ওপর শোষণের ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এটি অপরাধের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।”

ভুক্তভোগীদের জবানবন্দিতে জানা যায়, তারা চাকরির জন্য খাইরুল বাশারকে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু ব্রুনাই পৌঁছানোর পর তাদেরকে প্রত্যাশিত কাজ না দিয়ে খুব অল্প বেতনে অনিশ্চিত শ্রমে নিযুক্ত করা হয়। এমনকি তাদের পাসপোর্টও কেড়ে নেওয়া হয়, এবং মাসিক অর্থ দিতে না পারলে দেশে ফেরত পাঠানোর হুমকি দেওয়া হতো।

আদালত এ অপরাধকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। রায়ে বলা হয়, “পাচারকারীরা ভুক্তভোগীদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে তাদেরকে শোষণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে—যা অমানবিক ও ঘৃণ্য।”

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর হাজাহ রোযাইমাহ বিনতে হাজী আবদুল রহমান ও হাজাহ সিটি মুয়িজজাহ বিনতে হাজী সাবলি। আসামির পক্ষে দায়িত্ব পালন করেন দায়ুদ ইসমাইল অ্যান্ড কোম্পানির আইনজীবী।