
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ‘রাজনৈতিক দল’ হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এরই অংশ হিসেবে একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছি। এটি পুরোদমে শুরু হলে বিষয়টি কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, তা তখনই বলা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, জুলাই-আগস্ট থেকে শুরু করে দলের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগের পাশাপাশি বিগত ১৬ বছরের গুম খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করবে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে, গত বছরের ২ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর অভিযোগ জমা দেন এনডিএম-এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।
অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগসহ ১৪টি রাজনৈতিক দল গণহত্যার সরাসরি হুকুমদাতা হিসেবে দায়ী।
এদিকে, শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় আজ শেষ সাক্ষীর ৩য় দিনের জেরা অনুষ্ঠিত হবে। বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ মামলার মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে জেরা করবেন শেখ হাসিনার আইনজীবী।
এর আগে, গতকালও তাকে দিনভর জেরা করা হয়। জেরায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রাজসাক্ষী করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, কোনো চাপে নয়, সত্য উদঘাটনের স্বার্থেই তিনি রাজসাক্ষী হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, জুলাইয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী ৫০টিরও বেশি জেলায় মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় ২৫ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। ৫৪তম সাক্ষীর জেরা শেষ হলে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হবে। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, জুলাই গণহত্যায় জড়িত কেউই বিচার এড়াতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, গত ৫ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ‘রাজনৈতিক দল’ হিসেবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দেন চিফ প্রসিকিউটর।



























