
অস্ত্র আইনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
তবে আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রাখার অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। এ অপরাধেই তাকে এই সাজা দেওয়া হলো।
বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন, সম্রাট অস্ত্র আইন, ১৮৭৮-এর ১৯(ক) ধারায় দোষী সাব্যস্ত। পলাতক সম্রাটের এই সাজা তার গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে।
মামলায় ১০ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাটকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে কাকরাইলের তার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
পরদিন র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে।
এর আগে, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে অস্ত্র আইনে সম্রাটের সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। বিচার চলাকালে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।



























