
ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত পূরণের অগ্রগতি ও সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি মিশন ঢাকায় এসে পৌছেছে।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) থেকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে বৈঠক শুরু করছে আইএমএফের গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রো ইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি।
প্রথম দিনে তারা অর্থ সচিবের সঙ্গে উদ্বোধনী সভা করে মিশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরবে। এরপর অর্থ বিভাগের সামষ্টিক অর্থনীতি ও বাজেট শাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকএর কয়েকটি শাখার সঙ্গে বৈঠক করবে মিশনটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সামষ্টিক অর্থনীতি শাখার সঙ্গে বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে আলোচনা হবে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আইএমএফকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে সরকার কী কী কাঠামোগত সংস্কার আনবে, তা তুলে ধরা হবে।
এদিকে বাজেট শাখার সঙ্গে বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে সার্বিক বাজেট বাস্তবায়নের তথ্য। বকেয়া ভর্তুকি পরিস্থিতি এবং ভর্তুকি কমানোর পাশাপাশি রেমিট্যান্সের বিপরীতে দেওয়া প্রণোদনা কমিয়ে আনার পরিকল্পনার বিষয়টি নিয়েও পর্যালোচনা হবে। মিশনটি আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে।
আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের সই হওয়া ঋণচুক্তি অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বর মাসে ঋণের পঞ্চম কিস্তি ছাড় করার কথা এবং এই কিস্তির অর্থ পেতে বাংলাদেশকে কী কী শর্ত পূরণ করতে হবে— তার একটি তালিকা গত জুন মাসে সরকারকে দিয়েছে আইএমএফ।
শুধু রাজস্ব আহরণের শর্ত ছাড়া আইএমএফের সব শর্ত পূরণ করেছে বাংলাদেশ। শর্তগুলো বাংলাদেশ কতোটা পূরণ করেছে, তা যাচাই করি এই পর্যালোচক মিশনের উদ্দেশ্য।
সম্প্রতি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে আইএমএফ কর্মকর্তারা বাংলাদেশকে জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসে ঋণের পঞ্চম কিস্তি ছাড় করবে না আইএমএফ।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যে সরকার গঠিত হবে, সেই সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর মার্চ-এপ্রিল মাসে এই কিস্তির অর্থ ছাড় করবে সংস্থাটি।
আইএমএফের সময়মত ঋণের কিস্তি ছাড় না করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ এখন রিভিউ মিশন না পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। বাংলাদেশের প্রস্তাব ছিল, যেহেতু ডিসেম্বরে ঋণের কিস্তি ছাড় করা হচ্ছে না, তাই অক্টোবরে রিভিউ না করে নির্বাচিত সরকারের সময় যেন রিভিউ করা হয়। তবে আইএমএফ তাতে রাজী না হওয়ায় শেষপর্যন্ত রিভিউ মিশন পাঠানোর প্রস্তাবে সম্মতি দেয় ঢাকা।



























