
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি একাডেমিক স্থাপনার ফটকে তালা ঝুলিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ। আগামী ১৩ নভেম্বরের ‘লকডাউন কর্মসূচি’র অংশ হিসেবে তারা এ তালা লাগিয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজন নিরাপত্তা প্রহরীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।
তালা লাগানো ফটকগুলো হলো- চারুকলা অনুষদ, ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর), পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, কার্জন হল গেট এবং বিজ্ঞান ভবন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, যেসব নিরাপত্তারক্ষী এসব গেটে দায়িত্বে ছিলেন, তাদের সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সহকারী প্রক্টররা ঘটনাস্থলে গেছেন। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কি না, তা আমরা যাচাই করছি। এ ধরনের ঘটনায় কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া নিরাপত্তারক্ষীরা হলেন- শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শাহ আলম ও মো. সেলিম, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সফিকুল ইসলাম, কার্জন হলের ফটকে দায়িত্বরত আলী আহমেদ এবং চারুকলা অনুষদের মাঝের ফটকে দায়িত্বরত সংগ্রাম হোসেন।
জানা যায়, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পিছনের ফটক, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ফটক, চারুকলা অনুষদের তিনটি ফটকের মাঝের ফটক, কার্জন হলের হাইকোর্ট সংলগ্ন ফটক এবং কার্জন হল এলাকার আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদ ভবনের সামনের ফটকে তালা লাগানো হয়েছিল। শিকল দিয়ে তালা লাগিয়ে সাদা কাগজে ‘লকডাউন বিএসএল’ লিখে দেওয়া হয়।
রাতে অ্যাকাডেমিক ভবনের গেটগুলো বন্ধ থাকে। ফটকে নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। এর মধ্যে আইইআরের পিছনের অংশের ফটক দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ; চারুকলা অনুষদের মাঝের গেট ও হাইকোর্ট সংলগ্ন কার্জন হলের গেট মাঝেমধ্যে খোলা হয়।
এ দিকে বুধবার ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েম ফেসবুকে একটি পোস্টে ঘোষণা দেন, নিষিদ্ধ ও বিতাড়িত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নির্মূল ও ফ্যাসিবাদী শক্তির মূলোৎপাটনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ডাকসু মাঠে থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদেরকে দেশবিরোধী আওয়ামী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে দলবেঁধে নেমে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।


























