শনিবার । ডিসেম্বর ৬, ২০২৫
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আদালত ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩:৫০ অপরাহ্ন
শেয়ার

কামালের মৃত্যুদণ্ড, পাঁচ বছর সাজা মামুনের

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড


Hasina verdict

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের দুইটিতে মৃত্যুদণ্ড ও অপরটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দেন ট্রাইব্যুনাল

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের দুইটিতে মৃত্যুদণ্ড ও অপরটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দেন ট্রাইব্যুনাল।

অন্যদিকে মামলার আরেক আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। মামলার তৃতীয় আসামি এবং রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ২ টা ৫০ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রায় ঘোষণার সময় জনাকীর্ণ আদালতে আইনজীবীরা ছাড়াও জুলাই অগাস্টে নিহতদের কয়েকজনের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে এ মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগগুলো হচ্ছে-

প্রথম অভিযোগ
২০২৪ সালের ১৪ জুলাই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। তিনি আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’, ‘রাজাকারের নাতি–পুতি’ বলে উল্লেখ করেন। ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ‘প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায়’ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য এবং সশস্ত্র ‘আওয়ামী সন্ত্রাসী’ ব্যাপক ও পদ্ধতিগতভাবে নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর আক্রমণ করে।

দ্বিতীয় অভিযোগ
শেখ হাসিনা হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের ‘হত্যা করে নির্মূলের নির্দেশ’ দেন। এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তৃতীয় অভিযোগ
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাইদ হত্যায় প্ররোচনা, উসকানি।,

চতুর্থ অভিযোগ
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করে।

পঞ্চম অভিযোগ
আশুলিয়ায় জীবিত একজনসহ মোট ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা।