
কথা বলছেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
বরিশালের নাগরিক সমাজ মনে করছে, নির্বাচনী দুর্নীতি প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখনো আস্থা তৈরি করতে পারেনি। তারা প্রস্তাব দিয়েছেন- নির্বাচনী ফল ঘোষণা করার আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আয়- ব্যয়ের হিসাব গ্রহণ করা হোক।
নাগরিকদের অভিযোগ, প্রবাসীরা যেখানে ভোটাধিকার পাচ্ছেন, সেখানে দেশে থেকেও মান্তা সম্প্রদায়, ভাসমান ও ছিন্নমূল অনেক মানুষ জাতীয় পরিচয়পত্রের অভাবে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বুধবার বরিশাল মহানগরের একটি হোটেলে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা এসব মত প্রকাশ করেন।
তারা বলেন, মনোনয়ন, অতিরিক্ত জামানত, প্রচারণা থেকে শুরু করে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত- পুরো প্রক্রিয়াজুড়ে নানা ধরনের দুর্নীতি চলছে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনের আরও দৃঢ় ভূমিকা দরকার।
সভায় নাগরিকদের ভোট-পরবর্তী সরকারের প্রতি প্রত্যাশাগুলোর মধ্যে ছিল- কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মৌলিক সংস্কার, যুব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, মানবাধিকার, সুশাসন, দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র, আইনের শাসন, বাক্স্বাধীনতা, সাম্য ও শিক্ষার অধিকার।
পরামর্শ সভা সঞ্চালনা করেন নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান একে অপরের পরিপূরক। সংস্কার বাস্তবায়নের মাধ্যমে লুটপাটতন্ত্র ভাঙতে হবে।
সিপিডির অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গণঅভ্যুত্থান নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে, নাগরিকদের সচেতন থাকলে স্থানীয় ও জাতীয় উভয় সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবে সম্ভব হবে।
স্থানীয় নাগরিকরা বরিশালের কর্মসংস্থান সংকট, শিল্পায়নের অভাব, নদীভাঙন, ড্রেনেজ সমস্যা, হিজড়া জনগোষ্ঠীর অধিকারসহ নানা বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারা শিক্ষা–স্বাস্থ্য খাত শক্তিশালী করা, পেশাজীবীদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা, সবুজ বরিশাল গড়ে তোলা, ভোলার গ্যাস বরিশালে আনা এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনের মতো প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সভায় বিভিন্ন সামাজিক, পেশাজীবী ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং নিজেদের প্রত্যাশা ও মতামত তুলে ধরেন।























