
অনুপ্রবেশ মামলায় ভারতীয় নাগরিক সখিনা বেগম অবশেষে জামিন পেয়েছেন। রোববার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জাকির হোসাইন তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। এ সময় সখিনা বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীদের বরাতে জানা গেছে, তিনি আগামীকাল সোমবার কারামুক্ত হবেন।
সখিনা বেগমের আইনজীবী রহমাতুল্যাহ সিদ্দিক আদালতে বলেন, মামলাটি জামিনযোগ্য এবং সখিনা ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেননি- ভারতের দিক থেকে জোর করেই তাকে পাঠানো হয়েছে। তাই জামিন দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
শুনানি শেষে আদালত সখিনাকে তাঁর আশ্রয়দাতা ক্লান্তি আক্তার, ক্লান্তির মা জাকিয়া এবং খালা ময়না আক্তারের জিম্মায় জামিনের আদেশ দেন। ক্লান্তি আক্তার জামিন মঞ্জুর হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “চার দফা শুনানিতে এসে জামিন পাইনি। আজ পেয়ে খুব আনন্দ লাগছে।”
কয়েক মাস আগে ভারতের আসাম থেকে ধরে এনে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় দেশটির সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএএসএফ- এ অভিযোগ সামনে আসে সখিনার পরিবারের পক্ষ থেকে। বিষয়টি নিয়ে বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে ভাষানটেক থানা পুলিশ তাঁকে হেফাজতে নেয়।
মামলার নথি অনুযায়ী, গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভাষানটেক টিনশেড টেকপাড়া এলাকায় সখিনাকে পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজেকে ভারতের আসাম রাজ্যের নলবাড়ী জেলার বরকুড়া গ্রামের বাসিন্দা বলে জানান। পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশ করায় ‘দ্য কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট, ১৯৫২’-এর অধীনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
বিভিন্ন পর্যায়ে জামিন নাকচ হওয়ার পর অবশেষে আজ আদালত তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলেন।



























