
শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩০ কাঠা সরকারি জমি অবৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের করা বহুল আলোচিত তিন মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর)।
রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন গত রোববার (২৩ নভেম্বর) রায় ঘোষণার এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
এই তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ৪৭ জন আসামি। ক্ষমতার অপব্যবহার, সরকারি প্লট অবৈধ বরাদ্দ, জালিয়াতি ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে পৃথক তিনটি মামলা করে দুদক।
প্রথম মামলাটি করা হয় ১৪ জানুয়ারি। এতে শেখ হাসিনাসহ আটজনকে আসামি করা হলেও তদন্ত শেষে চার্জশিটে এই সংখ্যা বেড়ে ১২ জন হয়। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—পুরবী গোলদার, খুরশীদ আলম, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, নায়েব আলী শরীফ, কাজী ওয়াছি উদ্দিন, শহিদ উল্লাহ খন্দকার ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
একই দিনে শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে আসামি করে দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করে দুদক। তদন্ত শেষে এ মামলায় ১৭ জনকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য—সাইফুল ইসলাম সরকার, পুরবী গোলদার, কাজী ওয়াছি উদ্দিন, শহিদ উল্লাহ খন্দকার, আনিছুর রহমান মিঞা, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন, নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
তৃতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে জাল কাগজপত্র তৈরি, অবৈধভাবে প্লট বরাদ্দ গ্রহণ এবং সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের সুযোগ তৈরির অভিযোগ রয়েছে। এই মামলার অন্যান্য আসামির মধ্যে আছেন—কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন, হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
গত ৩১ জুলাই আদালত তিন মামলারই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। দীর্ঘ শুনানি ও যুক্তিতর্ক শেষে আজ যে রায় ঘোষণা হচ্ছে, তা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে।





























