
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এভাবেই ফ্রেমবন্দি হন রংপুরের ক্রিকেটাররা।
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি সংস্করণে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রংপুর বিভাগ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে খুলনা বিভাগকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপা ধরে রাখল আকবর আলির দল।
রবিবার (১২ অক্টোবর) প্রথমে ব্যাট করতে নেমে খুলনা ২০ ওভারে করে মাত্র ১৩৬ রান। রংপুরের শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিংয়ে শুরু থেকেই ধুঁকেছে খুলনার ব্যাটাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আউট হন ওপেনার ইমরানউজ্জামান। এরপর সৌম্য সরকার (৮) ও এনামুল হক (১২) পাওয়ার প্লেতেই ফিরে গেলে রানচাকা থেমে যায় খুলনার। ৮ ওভারে স্কোরবোর্ডে উঠেছিল মাত্র ২৩ রান।
পরিস্থিতি সামাল দিতে আফিফ হোসেন (১৪) ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন (৪৪) কিছুটা লড়াই করলেও রংপুরের বোলাররা শেষ পর্যন্ত খুলনাকে ১৩৬ রানের মধ্যেই থামিয়ে দেন।
রংপুরের পক্ষে সবচেয়ে কৃপণ ছিলেন নাসির হোসেন, ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দেন। সঙ্গে ছিলেন নাসুম আহমেদ (১/১৭) ও আবু হাশিম (১/২৮)।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ঝড় তোলেন রংপুরের ওপেনাররা। জাহিদ জাভেদ (২৪ বলে ২৭) ও নাসির হোসেন (৩১ বলে ৪৬) উদ্বোধনী জুটিতে তুলে দেন ৬১ রান। এরপর নাঈম ইসলাম (৩২ বলে ৪০*) ও অধিনায়ক আকবর আলি (১৫ বলে ২৯*) দলকে এনে দেন অনায়াস জয়।
১৪৭ স্ট্রাইক রেটে টুর্নামেন্টজুড়ে ২২২ রান করা আকবর আলি হয়েছেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট, আর ফাইনালের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন নাসির হোসেন।
মাত্র তিন জয় নিয়ে রান রেটে এগিয়ে শেষ চারে উঠেছিল রংপুর। কিন্তু সেখান থেকে টানা তিন ম্যাচ জিতে তারা আবারও প্রমাণ করল নিজেদের আধিপত্য — খুলনাকে উড়িয়ে টানা দ্বিতীয়বার এনসিএল টি-টোয়েন্টির শিরোপা ঘরে তুলল রংপুর বিভাগ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা বিভাগ: ২০ ওভারে ১৩৬/৮ (ইমরানউজ্জামান ০, সৌম্য ৮, এনামুল ১২, মিঠুন ৪৪*, আফিফ ১৪, জীবন ৮, মৃত্যৃঞ্জয় ২৪, জিয়াউর ৯*, অভিষেক ০, নাহিদুল ১১*; নাসুম ৩-০-১৭-১, নাসির ৪-১-১৯-০, হাশিম ৪-০-২৮-১, ইকবাল ২-০-১৪-১, জাভেদ ১-০-১১-০, এনামুল ২-০-১৪-১, আলাউদ্দিন ২-০-১৭-১, আল মামুন ২-০-১৫-১)।
রংপুর বিভাগ: ২০ ওভারে ১৩৮/২ (জাভেদ ২৭, নাসির ৪৬, নাঈম ৪০*, আকবর ১৯*; অভিষেক ২-০-২২-০, জিয়াউর ১-০-১০-০, মৃত্যুঞ্জয় ৩-০-২৭-০, নাহিদুল ৩-০-১৭-০, টিপু ৪-০-৩২-০, জীবন ২-০-১২-১, আফিফ ২-০-১৬-১)।
ফল: রংপুর বিভাগ ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: নাসির হোসেন।
ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট: আকবর আলি।




























