মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আজ লেখা হলো ওয়ানডে ক্রিকেটের নতুন ইতিহাস—পুরো ৫০ ওভারই স্পিনে বোলিং করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ! বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে এমন বিরল কীর্তি গড়ে ৫৪ বছরের ওয়ানডে ইতিহাসে নজিরবিহীন এক রেকর্ড গড়ল ক্যারিবীয়রা।
ম্যাচের শুরু থেকেই ইঙ্গিত ছিল কিছু আলাদা হতে যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো দুই প্রান্ত থেকেই স্পিনার দিয়ে ইনিংস শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ—এক প্রান্তে বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন, অন্য প্রান্তে অফস্পিনার রোস্টন চেইস। এরপর আক্রমণে আসেন আরও তিন স্পিনার—খ্যারি পিয়ের, গুডাকেশ মোতি এবং পার্টটাইম স্পিনার আলিক আথানেজ।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এই পাঁচ স্পিনারই ১০ ওভার করে বোলিং করেন। দলে থাকা জাস্টিন গ্রিভস ও শেরফিন রাদারফোর্ডের মতো পেস অলরাউন্ডারদের একবারও বোলিংয়ে ডাকেননি অধিনায়ক শেই হোপ। ফলে ইনিংসের সব ৩০০ বলই আসে স্পিন থেকে—ওয়ানডে ইতিহাসে যা একেবারেই অভূতপূর্ব।
এর আগে এক ইনিংসে স্পিনে সর্বাধিক ৪৪ ওভার বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল শ্রীলঙ্কার দখলে। ১৯৯৬, ১৯৯৮ ও ২০০৪ সালে তিনবার এমন কীর্তি গড়েছিল লঙ্কানরা। এবার তাদের রেকর্ড ভেঙে একক আধিপত্য গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের মাটিতেও আগে সর্বোচ্চ ৪০ ওভার স্পিন হয়েছিল—২০০৯ ও ২০১২ সালে, বাংলাদেশেরই বোলিংয়ে। ক্যারিবীয়রা এবার সেই রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেছে অনেক দূর।
দিনের বড় চমক ছিলেন পার্টটাইম স্পিনার আলিক আথানেজ। ক্যারিয়ারে মাত্র ৪ ওভার বোলিং করা এই তরুণ এদিন ১০ ওভারে ৩ মেডেনসহ মাত্র ১৪ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট—যা মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে কৃপণ বোলিংয়ের রেকর্ডও বটে।
এর আগে এই রেকর্ড ছিল পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজের, যিনি ২০১১ সালে মিরপুরেই ১০ ওভারে দিয়েছিলেন ১৫ রান।
স্পিনে সাজানো ৫০ ওভারের এই ইনিংস শুধু পরিসংখ্যান নয়—এ যেন মিরপুরের উইকেটের সঙ্গে স্পিনের পরিপূর্ণ মিলনের এক জীবন্ত উদাহরণ।




























